নিজস্ব প্রতিনিধি: শনিবার রাতে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের (HOSPITAL) শিশু বিভাগে সরবরাহ করা খাবারে কেঁচো পাওয়া যায়। এরপর থেকে হাসপাতালের সরবরাহ করা খাবার নেওয়া বন্ধ করল ভুক্তভোগী রোগীর পরিবার। অসুস্থ ছেলেকে খাবার পৌঁছে দিচ্ছে বাবা। খাবার দিতেই যাতায়াত করতে হবে দীর্ঘ ৬০ কিলোমিটার। হাসপাতাল থেকে খাবার নেওয়া বন্ধ করেছে আরও একাধিক রোগী। হাসপাতালের ওই ঠিকাদার সংস্থার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে চলেছে স্বাস্থ্য দফতর (HEALTH DEPARTMENT)।
জলপাইগুড়ি থেকে কুকুরযান ১৫ কিলোমিটার। এই কুকুরযানেই বাড়ি দীপক রায়ের। অসুস্থ ছেলেকে দুপুরে ও রাতে দিনে ২ বার করে বাড়ির খাবার এনে দিতে দিনে একেক বার আপ ডাউনে ৩০ কিলোমিটার করে পথ পাড়ি দিতে হবে দীপক রায় বা তাঁর পরিবারের সদস্যদের। শুধু এই পরিবারই নয় রবিবার দুপুরে খাবার নেয়নি আরও বেশ কিছু রোগী। এমনটাই জানা গিয়েছে। অভিযোগ পেয়ে নড়েচড়ে বসে স্বাস্থ্য দফতর। তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান।
কেন খাবারে মরা কেঁচো, এই নিয়ে হাসপাতালের খাবার সরবরাহ করা ঠিকাদার সংস্থার সঙ্গে কথা বলতে গেলে তারা এই বিষয়ে কোনও কথা বলতে চায়নি। এদিকে অসুস্থ ছেলের বাবা দীপক রায় বলেন, ‘গত শনিবার রাতে যেই পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছিলাম তারপর আর কী ভাবে এই হাসপাতালের খাবার ছেলেকে খাওয়াবো! তাই আজ বাড়ি থেকে ছেলের খাবার নিয়ে আসছি। আর ওর মার জন্য টিফিন বা খাবার দোকান থেকে এনে দিচ্ছি’।
ঘটনায় জলপাইগুড়ি বিধানসভার বিধায়ক তথা রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান ডাক্তার প্রদীপ কুমার বর্মা বলেন, ‘হাসপাতালের খাবার নিয়ে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। খাবার সরবরাহ করে ঠিকাদার সংস্থা। আমারা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করব। পাশাপাশি যারা খাবার নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে, তাঁদের জন্য আমরা দ্রুত সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব’। রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠকে ও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে বলে রোগী কল্যান সমিতির চেয়ারম্যান জানিয়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার ছেলের জ্বর আসায় তাকে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের শিশু বিভাগে ভর্তি করেছিলেন রাজগঞ্জ বিধানসভার অন্তর্গত কুকুরযান এলাকার বাসিন্দা দীপক রায়। বৃহস্পতিবার থেকে তাঁর সন্তানকে হাসপাতালের সরবরাহ করা খাবার খাচ্ছিল। শনিবার রাতে যেই খাবার দেওয়া হয়েছিল তাতে মৃত কেঁচো পাওয়া যায় বলে অভিযোগ। এরপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল রোগীর আত্মীয়রা। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। হাসপাতালের ঠিকাদার সংস্থার বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিতে চলেছে স্বাস্থ্য দফতর।