নিজস্ব প্রতিনিধি,ঝাড়গ্রাম: ঝাড়গ্রাম পুলিশের উদ্যোগে রবিবার জঙ্গলমহলের কচিকাঁচাদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হল বনভোজন। জেলা পুলিশের দিশা কোচিং সেন্টারের সঙ্গে যুক্ত ৩৮১ জন পড়ুয়া, শিক্ষক শিক্ষিকা ও অভিভাবকদের নিয়ে এই বনভোজন(Picnic) অনুষ্ঠিত হয়। ইতিমধ্যেই জঙ্গলমহলে তাপমাত্রার পারদের ছন্দপতন ঘটতে শুরু করেছে। শুরু হয়ে গিয়েছে শীতের রোদ্দুর গায়ে মেখে বনভোজনের পালা। রবিবার বেলিয়াবেড়া থানা এলাকার চারটি স্পটে এই বনভোজন অনুষ্ঠিত হয়। বেলিয়াবেড়া থানা এলাকার গুড়মা, ভাখুক খুলিয়া, গোহালমারা ও চন্ডিয়াস পার্ক এলাকায় এই বনভোজন স্পটগুলি দায়িত্বে ছিলেন বেলিয়াবেড়া থানার ওসি সুদীপ পালোধি স্বয়ং।
সকালে কেক ও টিফিনের পাশাপাশি, দুপুরে পেট পুরে খাওয়ানো হয় মুরগির মাংস, ভাত, তরকারি, চাটনি, পাঁপড় সহ একাধিক লোভনীয় খাবার। এই খাবারগুলি পরিবেশন করে থানার অফিসাররা সহ সিভিক ভলেন্টিয়াররা। জঙ্গলমহলে শীতে দরিদ্র মানুষজনকে শীতবস্ত্র ও কম্বল প্রদান করার পাশাপাশি কখনো পুষ্টিকর খাবার কখনো মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের কোচিং কিংবা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় বসার সুযোগ করে দিতে বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে থাকে প্রশাসন। মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে বই- খাতা সহ এবং ক্ষুদে খেলোয়াড়দের খেলার উপকরণ একাধিকবার বিনামূল্যে তুলে দেওয়া হয় বেলিয়াবেড়া থানার ওসি’ র(OC) পক্ষ থেকে। জঙ্গলমহলে(Jangalmahal) হতদরিদ্র মানুষগুলির পাশে আপদে-বিপদে থেকে সেখানকার প্রশাসন এই বার্তাই দিতে চাইছে যে তারা প্রকৃতই দুষ্টের দমন এবং শৃষ্টের পালনে ব্রতী।
এক সময় জঙ্গলমহলের যে গ্রামগুলিতে গামছায় ঢাকা মুখগুলি দাপিয়ে বেড়াত, পরিবর্তনের বাংলায় সেখানে মানুষজন এখন শান্তিতে বসবাস করছে। উধাও সেই আতঙ্ক। ঘরের ছেলেমেয়েদের মাও(Mao) স্কোয়াডে নথি ভুক্ত করার নেই হুমকি।আর সেই মানুষগুলি পরিবারগুলিকে মাথা উঁচু করে বাঁচতে আগামী প্রজন্মকে গড়ে তোলার ঘর নিয়েছেন বেলিয়াবেড়া থানার ওসি সুদীপ পালোধি। ডিসেম্বরের শীতের দুপুরে থানা ছেড়ে কচিকাঁচাদের মাঝে সময় কাটালেন বেলিয়াবেড়া থানার ওসি। পুলিশকে অভিভাবক হিসেবে পেয়ে খুশি জঙ্গলমহলের আগামী প্রজন্ম।