নিজস্ব প্রতিনিধি: রবিবার জামাই ষষ্ঠী (JAMAI SASTHI)। আর এই দিনেই পালিত হল কন্যাশ্রী ষষ্ঠী। দক্ষিণ দিনাজপুরের ঘটনা। উদ্যোগ নিয়েছে জেলা মহিলা তৃণমূল। অভিনব এই আয়োজনকে কেন্দ্র করে এলাকা জুড়ে উৎসবের পরিবেশ। কন্যাশ্রী ষষ্ঠী (KANYASHREE SASTHI) কেমন?
জামাই ষষ্ঠীর দিন দেখা যায়, শ্বশুরবাড়িতে আসেন জামাই। চলে দেদার জামাই আদর খানাপিনা। জামাইয়ের যদি ষষ্ঠী হয়, তবে বৌমাদের হবে না কেন? বেশ কয়েক বছর আগে উঠেছিল এই প্রশ্ন। তারপর থেকে একাধিকবার উঠে এসেছে বৌমা ষষ্ঠী (BOUMA SASTHI) পালনের খবরও। তবে এবারে যা হল, তা একেবারে অভিনব। পালিত হল, কন্যাশ্রী ষষ্ঠী।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস সকল শক্তির আধার মাতৃশক্তি। কন্যাশ্রীরাই আগামীদিনের মাতৃশক্তি, তাই মাতৃশক্তির মঙ্গলকামনায় অরণ্য ষষ্ঠী উপলক্ষ্যে অভিনব ‘কন্যাশ্রী ষষ্ঠী’র আয়োজন করল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের মহিলা নেত্রীদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী (CM) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (MAMATA BANERJEE) স্বপ্নের প্রকল্প ‘কন্যাশ্রী’ (KANYASHREE)। এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যে বাল্যবিবাহ অনেকটাই নির্মূল করা সম্ভব হয়েছে। আগামীদিনে সকল কন্যা যাতে সুস্থ ও সুন্দরভাবে জীবন অতিবাহিত করতে পারে সেই লক্ষ্যেই আয়জন করা হয়েছিল ‘কন্যাশ্রী ষষ্ঠী’র।
রবিবার বালুরঘাট শহরের কাঁঠালপাড়া এলাকায় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) জেলা কার্যালয়ে এই কন্যাশ্রী ষষ্ঠীর আয়োজন করা হয়েছিল। এদিন কন্যাদের মঙ্গলকামনায় ষষ্ঠী পুজো করা হয়। পুজোর পাশাপাশি জেলা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ্তা চক্রবর্তী কন্যাদের হাতে ষষ্ঠী পুজোর সুতো বেঁধে দেন। তাদের মঙ্গল কামনা করেন। কন্যাদের মঙ্গল কামনায় নয়া এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সকলেই। আনন্দিত কন্যারাও।
উল্লেখ্য, কন্যাশ্রী প্রকল্পে ছাত্রীদের প্রাথমিক থেকে উচ্চ শিক্ষার পড়ার খরচ বহন করে রাজ্য সরকার। প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত এই প্রকল্পের আওতা। কন্যাশ্রী প্রকল্প রাজ্য, দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে অর্জন করেছে আন্তর্জাতিক মানের পুরস্কার।