নিজস্ব প্রতিনিধি: উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে লাগাতার চলেছে ঝড়বৃষ্টি। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতেও এবার তার আঁচ পড়ছে। কিন্তু এখনও সেই ঝড়বৃষ্টির মুখ দেখতে পায়নি কলকাতা(Kolkata)। যার জেরে হাঁসফাঁস গরমে দিন কাটছে কলকাতাবাসীর। এরই মাঝে বার্তা এল মধ্যপ্রদেশে(Madhya Pradesh) তৈরি হয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। যার জেরে পশ্চিমী বাতাস ঢুকতে শুরু করেছে পশ্চিমবঙ্গে(West Bengal)। এই হাওয়ার হাত ধরেই এবার কলকাতার বুকে কালবৈশাখী(Kalbaishakhi) ঝড়বৃষ্টির আশা করছেন আবহাওয়াবিদরা। যদিও দিল্লির মৌসম ভবন থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে মার্চের মতোই এপ্রিল মাসও কার্যত কালবৈশাখীহীন যাবে কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী জেলাগুলির আবহাওয়া। একই সঙ্গে এবারে বর্ষাকালে দক্ষিণবঙ্গে স্বাভাবিকের থেকে কম বৃষ্টি(Rain) হবে বলেই জানিয়েছে তারা।
শনি সকালে আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, এদিনও আবহাওয়ায় কোনও পরিবর্তন হবে না। ফলে তীব্র গরম থেকে এখনই রেহাই মিলবে না কলকাতাবাসীর। শহরে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। তবে পশ্চিমী হাওয়ার হাত ধরে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, দুই বর্ধমান, কককাতা, হাওড়া, হুগলি, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম, নদিয়া ও মুর্শিদাবাদ জেলায় ঝড়বৃষ্টির পূর্ভাবাস দিয়েছন তাঁরা। শুক্রবারই প্রবল ঝড়বৃষ্টি হয় বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়া জেলায়। তার জেরে সেখানে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। মুর্শিদাবাদ জেলায় বাজ পড়ে তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। মৃতদের মধ্যে একজন আবার নাবালক। মৃতদের মধ্যে দু’জন সম্পর্কে মামা ও ভাগ্নে। নাম জাকির হোসেন(৩৮) ও তাঁর ভাগ্নে সারিকুল ইসলাম(১১)। অপর জনের নাম বাপি ঘোষ(৩০)। নদিয়ায় কৃষ্ণ চন্দ্র হালদার(৭০) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে গাছ ভেঙে পড়ে।