নিজস্ব প্রতিনিধি: করোনা অতিমারীতে ২০২০ সালে কোনওরকমে পুজো সেরেছেন কৃষ্ণনগরের পুজো কমিটিগুলি। কিন্তু আর সেইভাবে পুজো করতে নারাজ। কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে করোনা পরিস্থিতি, আর তাই দুর্গাপুজোর মতই জগদ্ধাত্রী পুজোতেও বিরাট আড়ম্বর করতে মাঠে নেমে পড়েছে কৃষ্ণনগরের পুজো কমিটিগুলি। চন্দননগরের আলোর কাছে হার মানলেও থিম পুজোতে এগিয়ে কৃষ্ণনগর। তাই কলকাতার দুর্গাপুজোর আকর্ষণকারী মণ্ডপ গুলি তুলে নিয়ে গিয়ে বিরাট আড়ম্বরে পুজো করতে তৈরি কৃষ্ণনগর।
জানা গিয়েছে, কৃষ্ণনগরে চলতি বছরে জগদ্ধাত্রী পুজোতে কোথাও মাথা তুলে দাঁড়িয়ে থাকবে বিশ্বের সুউচ্চ অট্টালিকা বুর্জ খলিফা তো কোথাও আবার কাশ্মীরের ডাল লেকের হাউসবোট। বড়রাস্তার এপারে সোমনাথ মন্দির তো আর দু’পা এগোলেই কেদারনাথ। তেমনই শক্তিনগর এমএনবি ক্লাব তাদের প্যান্ডেল তৈরি করছে মাইসোর প্যালেসের আদলে। কৃষ্ণনগর প্রভাত সংঘ আবার আমেরিকার জৈন মন্দিরের আদলে সাজাচ্ছে তাদের মণ্ডপ। আমিনবাজার বারোয়ারীর প্যান্ডেলে এবারে চমক হাউসবোট অফ কাশ্মীর। একইভাবে বউবাজার বারোয়ারি তাদের মণ্ডপসজ্জায় রেখেছে সোমনাথ মন্দির। ঘূর্ণি আনন্দনগরের প্যান্ডেল তৈরি হচ্ছে চারধাম যাত্রার কথা মাথায় রেখেই। সেখানে তৈরি হবে কেদারনথ মন্দির। ঘূর্ণি তুফান সংঘে তৈরি হচ্ছে টাইটানিক। ঘূর্ণি শিবতলা বারোয়ারিতে এবার তাদের প্যান্ডেল হবে ওড়িশার শিব মন্দিরের আদলে।
তবে জগদ্ধাত্রী পুজোতে প্রশাসন কী নির্দেশিকা তা নিয়ে চিন্তা ঘুরছে পুজো কমিটি গুলির মাথায়। সেই বিষয়ে এক পুজো কমিটির উদ্যোক্তা জানিয়েছেন, ‘প্রশাসনের উচিত ছিল অনেক আগেই পুজো উদ্যোক্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসার। যেটা এখনও পর্যন্ত করে উঠতে পারেনি প্রশাসন। ইতিমধ্যেই সমস্ত পুজো উদ্যোক্তারা প্যান্ডেল থেকে শুরু করে প্রতিমা সবকিছুই মোটামুটি ঠিকঠাক করে ফেলেছে। শেষ পর্যায়ে যদি প্রশাসন বাধা দেয় সেটা পুজো উদ্যোক্তাদের কাছে নিঃসন্দেহে একটা চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াবে।’ কৃষ্ণনগর স্বীকৃতি ক্লাবের পূজো কমিটির সদস্য সৌমাল্য ঘোষ জানিয়েছেন, ‘যতক্ষণ না পর্যন্ত পুজো উদ্যোক্তাদের সঙ্গে প্রশাসনের বৈঠক হচ্ছে ততক্ষণ কোনো কিছুই পরিষ্কার হচ্ছে না। অবিলম্বে দ্রুত সমন্বয় সভার প্রয়োজন।’