নিজস্ব প্রতিনিধি: বকটুই কাণ্ডের পর লালন শেখের পরিবার ঘর ছেড়ে চলে যাওয়ার পর এক ব্যক্তির বাড়িতে ঠাঁই হয় তাদের প্রিয় পোষ্যের। এবার প্রিয় সেই কুকুরকে ফিরে পেতে পুলিশের দ্বারস্থ হলেন লালন শেখের স্ত্রী রেশমা বিবি।
কয়েকদিন আগে স্বামীকে হারিয়েছেন রেশমা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের হেফাজতে থাকা অবস্থায় রহস্যমৃত্যু হয় লালন শেখের। এখন লালন নেই। কিন্তু বাড়িতে তাঁর প্রিয় পোষ্যকে যত্নে রাখতে চান রেশমা। আর তাই নয় মাস আগে চলে যাওয়া কুকুরটিকে আবার ফিরে পেতে চাইছেন রেশমা বিবি এবং তাঁর কন্যা। জানা গিয়েছে বর্তমানে তাদের কুকুরটি সিউড়ির ভট্টাচার্য পাড়ায় সযত্নে লালিত হচ্ছে। অলোক ভট্টাচার্য নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে গত ন’মাস ধরে পালিত হচ্ছে লালনের কুকুর ‘টপি’। লালন শেখের স্ত্রী রেশমা বিবি জানান, ক্রশবিড কুকুরটিকে লালন শেখ দু’বছর আগে বাড়িতে এনেছিল। নাম রেখেছিল টপি। বাড়িতে সারাদিন ছাড়া থাকত। কুকুরটিকে ছেড়ে ঘর বন্ধ করে পালাতে বাধ্য হয়েছিলাম আমরা। রামপুরহাট থানার কাছে আবেদন জানিয়েছি, আমাদের প্রিয় টপিকে ফিরে পাওয়ার জন্য।
লালনের টপি এখন সিউড়িতে জিমি হিসাবে বড় হচ্ছে। টপি অবশ্য তার পালক পিতা অলোক ভট্টাচার্যের কাছে এসেছিল আচমকা। প্রসঙ্গত গত ২১ মার্চ ভাদু শেখ খুন হওয়ার পর এবং ৯ জনের অগ্নিদগ্ধ করে খুন করা হয়। সেই ঘটনার পর ঘরছাড়া হন লালন শেখ এবং তার পরিবার। এদিকে বাড়িতে খেতে না পেয়ে কুকুরটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। এক প্রতিবেশী জানান, বকটুই কাণ্ডের ন দিন পর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই লালনের বাড়িতে হার্ড ডিক্সের খোঁজে গিয়ে অসুস্থ অবস্থায় টপিকে উদ্ধার করে। এরপর সিবিআই আধিকারিকরা পোষ্যকে উদ্ধার করে তাদের প্রতিবেশী বাবর আলির হেফাজতে রেখে দেয়। এরপর এক পশুপ্রেমী সংস্থার মাধ্যমে কুকুরটির আশ্রয় হয় অলোক ভট্টাচার্যের বাড়ি।