নিজস্ব প্রতিনিধিঃ একটি বিস্ফোরণ কেড়ে নিয়েছে বহু মানুষের প্রাণ। শুধুই কি জীবনহানি? বহু মানুষের হাহাকারের আর্তনাদও জড়িয়ে রয়েছে। হারিয়েছে বহু স্বপ্ন। পেয়েও হারানোর বেদনা। তেমনই এক করুণ পরিস্থিতির সম্মুখীন মফিজউদ্দিন আলি। স্বপ্ন ছিল মাথা গোঁজার ঠাইটুকু তৈরি করবেন। সেইমত নিরলস পরিশ্রম করেছিলেন। চোখের সামনে ধীরে ধীরে কষ্টের উপার্জনের টাকায় বানিয়ে তুলেছিলেন বসতবাড়িটি। শুধু একটা বিস্ফোরণ। তাতেই সব শেষ। বিস্ফোরণে বাড়ির ছাদ উড়েছে। এখনও ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বাজির উপাদান। এক লহমায় নিজের স্বপ্নের বাড়িটি চোখের সামনে বিধ্বস্ত হয়েছে। চোখের জল তাই কোনোমতেই থামছেনা মফিজউদ্দিন আলীর সহ তাঁর পরিবারের।
দত্তপুকুর বিস্ফোরণকাণ্ডে এ এক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের আর্তনাদের কাহিনী। মেয়ে ছোট থেকেই দেখেছে বাবা কঠোর পরিশ্রম করে চলেছে। বাড়িটি তৈরি করার জন্য কখনও হোটেলে কাজ করেছেন। কখনও চায়ের দোকানে কাজ করেছেন। এমনকি শৌচাগার সাফাই এর কাজও করেছেন। গত চারমাসে এক কাঠা জমির ওপর বাড়িটি গড়ে তুলেছিলেন। এমনকি গোয়ালঘরটি ক্ষতিগ্রস্ত। বাধ্য হয়ে সাধের পোষ্য গরুটিকে সারাক্ষণ বাইরেই বেঁধে রাখতে হচ্ছে।
বাড়ির সম্পূর্ণ কাজ শেষ হওয়ার আগেই বিস্ফোরণে শেষ পুরো বাড়ি। এমনকি সেই সুযোগে দেদার লুটপাট চলছে। খোয়া গিয়েছে অনেক জিনিসপত্র। করজোড়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সহযোগিতার অনুরোধ জানিয়েছেন। সব হারিয়ে মৃত্যু ছাড়া বাকি পথ বন্ধ বলেই দুঃখ প্রকাশ পরিবারের। এ শুধু মফিজউদ্দিন আলীর কাহিনী নয়। বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু মানুষ। সেই যন্ত্রণা প্রকাশ করবার মত নয়। বেআইনি কারবার এভাবেই ধ্বংস করেছে বহু পরিবারকে।