নিজস্ব প্রতিনিধি: ফেসবুকে আলাপ। তারপর ফোনে কথা। শেষে একদিন মুখোমুখি দেখা। শরীরে হাত বুলিয়ে, ঠোঁটে ঠোঁট রেখে শুরু হয়েছিল প্রেমের যাত্রা। পথে এসেছে বিছানা। ঝড় তুলে সোহাগে ভরিয়েছেন একে অপরকে। এক আধদিন নয়, দিনের পর দিন। দুই শরীর মিলেছে, এক হয়েছে বার বার। কিন্তু সেই শরীর পুরানো হতেই নতুন শরীরের সন্ধানে নেমে পড়েছে দীর্ঘ প্রেমে মগ্ন থাকা পুরুষ। পেটে খিদে মুখে লাজ, এমন তো চলে না। তাই প্রেমিকা এখনও মজে প্রেমিকের বিছানার হুল্লোড়ে। কিন্তু প্রেমিক তিনি তো এখন পগার পার হতে চান, প্রাক্তনীর বাহুডোর কাটিয়ে। সেই অভিলাষ টের পেতেই এবার প্রেমিকের বাড়ির সামনেই ধর্নায়(Dharna) বসে গেলেন প্রেমিকা। ‘বিছানায় শুয়েছো। আমায় ভোগ করেছো। এবার বিয়ে করে ঘরে তোল।’ এহেন দাবি তুলেই গত ৩ দিন ধরে ধর্না চালিয়ে যাচ্ছেন কন্যা। কিন্তু প্রেমিক, তিনি তো রয়েছেন অন্য কোথাও মুখ গুঁজে। সহায় তাঁর পরিবারও। কেননা এখন প্রেমিকের মা প্রেমিকার ধর্না তুলতে পুলিশ ডাকার হুমকি দিচ্ছেন। আর এই ঘটনা ঘিরেই শোরগোল পড়েছে কোচবিহার(Coachbehar) জেলার মাথাভাঙা-১(Mathavanga) ব্লকের কুর্শামারি গ্রামে।
জানা গিয়েছে, কোচবিহারের সাঙ্গারবাড়ি এলাকার বাসিন্দা ওই যুবতীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল কুর্শামারির যুবক আশু বর্মনের(Ashu Burman)। ফেসবুক থেকে আলাপ সূত্রে দুইজনের প্রেম। খাওয়াদাওয়াও কিছু মন্দ হয়নি। ম্যানফোর্স, ডিউরেক্স, সহেলি সবই চলেছে কয়েক বছর ধরে। কিন্তু অংশু এখন চাকরি পেয়েছে, সরকারি। তাই পুরাতন বাঁধা ধরা খাবার আর মুখে রুচছে না। তাই মুখের স্বাদ পাল্টাতে সে এখন মুখ ডুবিয়েছে শহরের এক কন্যের নাভিতে। খাওয়াদাওয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে। সে মেয়ের বাপের বেশ আছে পয়সা। বিয়ে হলে মিলবে মোটা টাকা। সেসব হিসাব কষে ফেলেছে আশুর মা। কিন্তু নাগর হাতছাড়া হতেই এখন ভবিষ্যৎ অন্ধকার দেখছে সাঙ্গারবাড়ির যুবতী। আশুকে তাঁর চাইই চাই। ফেরত চাই। আর সেই দাবি নিয়েই রবিবার থেকে আশুর বাড়ির সামনেই বসেছে সে ধর্নায়। প্রবল বৃষ্টিও তাঁর ধর্না ভাঙাতে পারেনি। কিন্তু সেই ধর্না তোলার জন্যই এখন কোমর বাঁধছেন আশুর মা। এই বজ্জাত নষ্ট মেয়েছেলেটাকে না তুললে চলবে কেন! হাতের লক্ষ্মী ফাঁক গলে বেড়িয়ে যাবে যে। তাই থেকে থেকেই আসছে হুমকি ধমকি ভেসে, ‘ডাকব পুলিশকে। দেখি কে বাঁচায়।’
যুবতীর দাবি, ‘বিয়ে করার কথা বলে গত পরশু আমাকে ফোন করে এবং তাঁকে বাড়িতে আসতে বলে। কিন্তু ফোনে কথা বলার পর থেকেই আমার মোবাইল নম্বর ব্লক করে রেখেছে। আমাদের প্রেমের সম্পর্ক অস্বীকার করছে আশু। যতক্ষণ না পর্যন্ত আশু এসে বিয়ে করছে, ততক্ষণ পর্যন্ত ধর্না চালিয়ে যাব।’ আশু অবশ্য মানচিত্র থেকে উধাও। কোথাও মিলছে না তার হদিশ। আর আশুর মায়ের দাবি, ‘ছেলে আমার নির্দোষ। সে এই মেয়েকে চেনেই না। কোনও সম্পর্কও ছিল না। আমার ছেলেকে চক্রান্ত করে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে ওই বজ্জাত হতচ্ছাড়া মেয়েটা। ওর ভালো কোনওদিনই হবে না। দরকার হলে পুলিশ ডাকব।’ পাবলিক অবশ্য একটা কথাই বলছে, ‘শালা ম্যানফোর্সের কী জোর! স্বাদ ভুলতে আর পারছে না। ধর্না দিতে চলে এসেছে।’
