এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

আদালতের দ্বারস্থ স্বয়ং মা কালী, রায় দিলেন বিচারপতি

নিজস্ব প্রতিনিধি: মন্দির এবং জমি থেকে কর পাচ্ছেন না মা কালী। সেই অভিযোগ জানিয়েই মা কালী(Maa Kali) স্বয়ং আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।  আদালতের খাতায় অভিযোগকারী হিসাবে জ্বলজ্বল করছে মায়ের নাম। কারণ মন্দির এবং জমি থেকে যে টাকা তোলা হচ্ছে তার সিকিভাগও মন্দিরের উন্নয়নে ব্যয় করা হচ্ছে না। ভুক্তভোগী যেহেতু ‘মা কালী’ অর্থাৎ আনন্দময়ী দক্ষিণা কালীমাতা ঠাকুরানি, তাই তাঁর নামেই কলকাতা হাইকোর্টে(Calcutta High Court) মামলা দায়ের করা হয়েছিল। এই কালী মা থাকেন কলকাতা থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরে দক্ষিণ ২৪ পরগনা(South 24 Pargana) জেলার বিষ্ণুপুর(Bishnupur) থানার নেপালগঞ্জে। অবশেষে সেই মামলায় রায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আর সেই রায় গিয়েছে মা কালীর পক্ষেই।

আরও পড়ুন মমতার বাংলাকে ১ হাজার কোটি টাকা দিল মোদি সরকার

জানা গিয়েছে, পঞ্চানন চক্রবর্তী নামে এক ব্যক্তি ১৯৯৫ সালে শ্রী শ্রী আনন্দময়ী দক্ষিণা কালীমাতা ঠাকুরানির মন্দির নির্মাণ করেছিলেন বিষ্ণুপুরের নেপালগঞ্জে। ২০০২ সালে মন্দিরের নামে নেপালগঞ্জহাট সহ ৩ একর জমি কেনেন পঞ্চাননবাবু। তখন থেকেই নেপালগঞ্জহাটের ১৫০টি স্থায়ী এবং ২৫০টি অস্থায়ী স্টল থেকে ভাড়া নেওয়া শুরু করে কর্তৃপক্ষ। পঞ্চাননবাবুর দুই ছেলে রয়েছে। একজনের নাম কানাইলাল চক্রবর্তী এবং অপরজনের নাম সত্যেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। ২০১০ সালে পঞ্চাননবাবুর মৃত্যুর পর সুবিশাল মন্দির ও জমির কর্তৃত্ব কার হাতে যাবে তা নিয়ে দুই ছেলের মধ্যে তুমুল গণ্ডগোল সৃষ্টি হয়। নেপালগঞ্জহাটে স্থায়ী এবং অস্থায়ী মিলিয়ে যতগুলি স্টল সেখান থেকে যে টাকা কর হিসাবে তোলা হয় তা নাকি মন্দির উন্নয়নের স্বার্থে ব্যবহার করা হয় না। সমস্ত টাকা নিজের কাছে রাখছেন সত্যেন্দ্রনাথবাবু। কানাইলালবাবু এটা মেনেনিতে পারেননি। তিনি আলিপুর আদালতে দাদার নামে অভিযোগ করেন। এরপর ২০১৯ সালে নিম্ন আদালত স্টলগুলি থেকে ভাড়া সংগ্রহের জন্য দুই ভাইকে যৌথভাবে রিসিভার নিয়োগ করে। সেই নির্দেশের কয়েকমাস পর থেকেই ভাড়া আদায়কে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে বিরোধ চরমে ওঠে। যা কিনা কলকাতা হাইকোর্ট পর্যন্ত যায়।

আরও পড়ুন লটারিকাণ্ডে ইডির নজরে রাজ্যের কিছু উর্দিধারী

কানাইলালবাবুর অভিযোগ, সত্যেন্দ্রবাবু তাঁর সহযোগীদের নিয়ে বেআইনিভাবে ভাড়া আদায় করছেন। বঞ্চিত হচ্ছে ‘মন্দির কর্তৃপক্ষ’ তথা মা কালী স্বয়ং। তাই এর একটা বিহিত হওয়া প্রয়োজন। তার জেরেই মা কালীর হয়েই মামলা দায়ের করা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। প্রায় এক দশকেরও বেশি সময় ধরে দুই দফায় মামলা চলার পরে রায় দিয়েছে আদালত। কলকাতা হাইকোর্টে সম্প্রতি বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে মামলাটির শুনানি হয়। সব পক্ষের বক্তব্য শুনে মামলাকারী ‘মা কালী’র পক্ষে রায় দেয় আদালত। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা জানান, নিম্ন আদালতের নির্দেশ মতো ভাড়া আদায়ের জন্য বিষ্ণুপুর থানার ওসিকে যাবতীয় ব্যবস্থা করতে হবে। এই কাজে যে বা যাঁরা বাধা দেবেন, প্রয়োজনে তাঁদের গ্রেফতার করতে হবে। ভবিষ্যতে সমস্যা ঠেকাতে পুলিস সুপারকে ওই এলাকায় একটি পুলিস পিকেট বসানোর ব্যবস্থা করতেও নির্দেশ দিয়েছেন মহামান্য বিচারপতি।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

নির্বাচন শেষে রাজনৈতিক দলের ব্যানার পোস্টার খুলতে ব্যস্ত কর্মীরা

হলদিয়াতে ভোট প্রচারে গিয়ে বিয়ের সম্বন্ধর প্রস্তাব পেলেন দেবাংশু , কিন্তু এখনই বিয়েতে নারাজ

কৃষ্ণনগরে স্ট্রং রুমের নজরদারিতে ঢিলে ঢালা ভাব, আসানসোলে বজ্র আঁটুনি

নামখানা এলাকায় নদী বাঁধে বড় ফাটল, বাঁধ তৈরীর নামে দুর্নীতির অভিযোগ

এগরাতে বিজেপি – তৃণমূল সংঘর্ষ ,অবরোধ ,ঘটনাস্থলে পুলিশ

সবজির বস্তার আড়ালে পাচার বিদেশী মদ, উদ্ধার করল আবগারি দফতর

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর