নিজস্ব প্রতিনিধি: আয়লার ধাক্কায় জলোচ্ছ্বাসে ডুবেছিল গোটা গ্রাম। ভেঙেছিল গ্রামের কিনারায় থাকা বাঁধও। সেই বাঁধ সারাইও করে দিয়েছিল রাজ্যের সেচ দফতর। কিন্তু সেই বাঁধ আবারও ভাঙে যশের জলোচ্ছাসে। তারপর থেকেই জোড়াতাপ্পি দিয়ে তা কোনওরকমে খাড়া করে রাখা হয়েছিল। কিন্তু বুদ্ধ পূর্ণিমার ভরা কোটাল সেই বাঁধকে আর খাড়া থাকতে দিল না। পূর্ণিমায় আসা ভরা কোটালের(High Tide) ঢেউয়ের ধাক্কায় ভেঙে পড়ল সেই বাঁধ আর তার জেরেই সোমবার সকাল থেকে গ্রামে হু হু করে ঢুকতে শুরু করেছে সাগরের নোনা ঘোলা জল। ঢুবেছে চাষের জমি, পুকুর ও আশেপাশে থাকা বেশ কিছু বাড়িও। ঘটনাস্থল দক্ষিণ ২৪ পরগনা(South 24 Pargana) জেলার কাকদ্বীপ(Kakdwip) মহকুমার সাগর(Sagar) ব্লকের মহিষমারি(Mahishmari) গ্রামে।
জানা গিয়েছে, সোমবার সকালে সাগরে ভরা কোটালের ধাক্কায় কার্যত সবার চোখের সামনেই মহিষমারির বাঁধ ঢেউয়ের ধাক্কায় ভেঙে যায়। তারপরই সাগরের জল হু হু করে ঢুকতে থাকে গ্রামের মধ্যে। ডুবে যায় চাষের জমি থেকে পুকুর। বাঁধের আশেপাশে থাকা বেশ কিছু বাড়িও প্লাবিত হয়েছে। গ্রামবাসীরা স্থানীয় প্রশাসনকে দ্রুত বাঁধ মেরামতির কথা বললেও প্রশাসনের দাবি, বাঁধ মেরামতির জন্য সরঞ্জাম থাকলেও ভরা কটালের জন্য মেরামতির কাজ করা যাচ্ছে না। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের দাবি, সাগর ব্লক আদতে সাগরদ্বীপ যা তৈরি হয়েছে গঙ্গার পলিমাটি দিয়ে। বছরের পর বছর পলি পড়ে পড়ে এই দ্বীপের সৃষ্টি হয়েছে। প্রাকৃতিক ভাবেই এই দ্বীপ তাই আজ না হোক কাল আবারও সাগরেই বিলীন হয়ে যাবে। তাই যে বাঁধই মহিষমারিতে দেওয়া হোক না কেন ভরা কোটালের ধাক্কায় তা ভাঙবেই। এক্ষেত্রে সমস্যার সমাধান একটাই ওই দ্বীপ ছেড়ে বাসিন্দারা মূল ভূ-খণ্ডে এসে বসবাস করুন।