নিজস্ব প্রতিনিধি ,হবিবপুর: এক দশম শ্রেণীর ছাত্রীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল হবিবপুরের(Habibpur) কেন্দপুকুরে। ছাত্রীটিকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে উত্যক্ত করতেন এক গৃহ শিক্ষক বলে অভিযোগ। অভিযোগ, কয়েকদিন আগে বাড়িতে গিয়েও ছাত্রীকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল অভিযুক্ত গৃহ শিক্ষক। জানা গেছে ,গৃহ শিক্ষক বিবাহিত তার একটি সন্তানও রয়েছে । এ দিন রাতে বাড়ি থেকে ছাত্রীটির ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়।
এর পরেই, ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামবাসীদের একাংশ। অভিযুক্ত গৃহ শিক্ষকের বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ দিন থানায় অভিযোগ করেন মৃত ছাত্রীর মা। অভিযোগের ভিত্তিতে ওই গৃহ শিক্ষককে হবিপুর থানার পুলিশ রবিবার রাত্রেবেলা বুলবুলচন্ডী এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। সোমবার দুপুর বেলা মালদা কোর্টে(Malda Court) পেশ করা হয়। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে।
অন্যদিকে, জমি বিবাদকে কেন্দ্র করে কাকার হাতে আক্রান্ত হলেন বৌদি, ভাইপো, ভাইপোর নব বিবাহিত স্ত্রী। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটে ভুতনি থানার ভীমটোলা আলাদিয়া গ্রামে। অভিযোগ, কাকা কৃষ্ণ মন্ডল তাঁদের হাসুয়া দিয়ে কোপায়। ওই তিনজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে ভুতনি হাসপাতাল ও পরে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, আহতদের নাম অনিমা মন্ডল (৪০), তাঁর ছেলে কুশ মন্ডল (২১) কুশের স্ত্রী ভাগ্যলক্ষ্মী মন্ডল (২১)। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি জমিকে কেন্দ্র করে কাকা কৃষ্ণ মন্ডলের সঙ্গে ভাইপো কুশ মন্ডলদের দীর্ঘদিন ধরেই গোলমাল চলছে। মাত্র ৮ দিন আগে কুশের বিয়ে হয়েছে।
কুশ মন্ডলের অভিযোগ, এদিন রাতে কাকা কৃষ্ণ মন্ডল আচমকা হাসুয়া নিয়ে তাদের উপর চড়াও হয়। কুশ ও তার নববিবাহিত স্ত্রীকে হাসুয়া দিয়ে জখম করে। বাধা দিলে তার মাকেও জখম করে কাকা। প্রতিবেশীরা ছুটে এলে কাকা পালিয়ে যায়। প্রতিবেশীরাই তাদের উদ্ধার করে প্রথমে ভূতনি হাসপাতালে ভর্তি করে। জখম গুরুতর থাকায় তাদের মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এখন মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই(Malda Medical College Hospital) তাদের চিকিৎসা চলছে। বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে।