এই মুহূর্তে




মালদার সুকদেবপুরে প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন জঙ্গি হানা ও অনুপ্রবেশ রুখতে বিশেষ নজরদারি শুরু বিএসএফের




নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদা : রবিবার প্রজাতন্ত্র দিবস। তার আগে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে টহলদারি জোরদার করল বিএসএফ(BSF)। প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন সীমান্তে অনু প্রবেশ ও জঙ্গি হানা ঠেকাতে তৎপর বিএসএফ। মালদায় প্রশাসনিক বৈঠকে মালদার ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে কিছুটা হতাশ শুকদেবপুর এলাকার বাসিন্দারা। সীমান্ত রাজনীতির জায়গা নয়, বাংলাদেশের অনুপ্রবেশ অবিলম্বে বন্ধ করার দাবি বাসিন্দাদের।ভারত- বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়াকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়েছিল দুই দেশের সীমান্ত রক্ষা বাহিনী ও দুই দেশের নাগরিকদের মধ্যে।

উল্লেখ্য, গত ৭ই জানুয়ারি প্রথম কাঁটাতার দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিএসএফকে বাঁধা দেয় বিজিবি। এরপরই ০ পয়েন্ট এলাকায় দু’দেশের বাসিন্দারা যোগ দেয় দু’পক্ষের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর সঙ্গে। একে অপরের উদ্দেশ্য করে স্লোগান ছোড়া শুরু হয়। এরপরই গত ১০ই জানুয়ারি দু’দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের পর কাঁটাতার দেওয়ার কাজ বন্ধ থাকে। কিন্তু সুকদেবপুর এলাকার বাসিন্দারা শনিবার ১৮ জানুয়ারি যখন সীমান্তে নিজেদের জমিতে যায়। ঠিক তখনই তারা লক্ষ্য করে তাদের জমির গম কেটে নিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের দুষ্কৃতীরা। তারা প্রতিবাদ করলে তাদের দিকে তেড়ে আসে বাংলাদেশের দুষ্কৃতীরা। রীতিমতো কয়েকজন ভারতীয় চাষিকে মারধর করে বাংলাদেশের দুষ্কৃতীরা। এরপরই বিষয়টি জানতে পেরে বিএসএফ জওয়ানরা সেখানে গেলে তাদের‌ লক্ষ্য করে মুহুর্মুহু পাথর ছুড়তে শুরু করে বাংলাদেশের দুষ্কৃতীরা। ঘটনায় দুজন বিএসএফ জওয়ান আহত হয়। তাদের একজনের মাথায় পাথর লাগে এবং অন্যজনের বুকে এবং পায়ে পাথর লাগে। ঘটনার খবর চাউর হতেই দু’দেশের বাসিন্দারা জড়ো হয় সীমান্তে। রীতিমতো উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে দু’পক্ষের মধ্যে। অভিযোগ, বাংলাদেশের দুষ্কৃতীরা এ পারের বাসিন্দা ও বিএসএফকে লক্ষ্য করে পাথরের পাশাপাশি বোমাও ছোড়ে। এছাড়াও বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিবি(BGB) তাতে প্রচ্ছন্ন মদত দিচ্ছে বলেও অভিযোগ।

যখন বর্ডারে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা তারই মাঝে মালদা জেলা প্রশাসনিক বৈঠকে আসেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(CM Mamata Banerjee),সভার মঞ্চ থেকে মালদার বৈষ্ণবনগরের সুকদেবপুর এলাকা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন সীমান্ত কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ থাকা বিএসএফ এর রক্ষণাবেক্ষণ এবং দেখাশোনার দায়িত্বে রয়েছে। সীমান্তে কোন রূপ অশান্তি বা উত্তেজনা হলে গ্রামবাসীরা যাবেন না এবং গন্ডগোলে জড়াবেন না। রাজ্য পুলিশকে সীমান্তবর্তী এলাকায় মাইকিং করে তা ঘোষণা করার কথাও বলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষনার পরেই শুকদেবপুর গ্রামবাসীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন।

স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন সীমান্তে যখন তার রাজ্যের মানুষ মার খাচ্ছে রাজ্যের মানুষের ফসল ওপার বাংলার দুষ্কৃতীরা কেটে নিচ্ছে তিনি সেই প্রসঙ্গে একবারও কিছু বললেন না। আমাদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে অন্যায় হয়ে আসছে। আমরা চাই কাঁটাতারের বেড়া হোক এবং বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারীরা এ রাজ্যে বা এদেশে প্রবেশ করতে না পারে তার ব্যবস্থা করুক সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ। তার পাশাপাশি নো ম্যানস লেন্ড- এ যে সমস্ত চাষাবাদজমি আমাদের রয়েছে। সেই সব জমির চাষাবাদ যাতে আমরা সুষ্ঠুভাবে করতে পারি তার ব্যবস্থা করুক কেন্দ্রীয় সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ থাকা। বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

শান্তিপুর বমি কাণ্ড, হাসপাতালের কাছে রিপোর্ট তলব স্বাস্থ্য দফতরের

বিদ্যাধরী নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর

রিয়েলিটি গানের শো’তে সুযোগ করিয়ে দেওয়ার নামে মধ্যমগ্রামে লক্ষাধিক টাকার প্রতারণা, ধৃত প্রতারক

ফের গর্জে উঠলেন দাপুটে তৃণমূল নেতা কাজল শেখ, কার উদ্দেশ্যে বললেন এই কথাগুলো?

প্রাথমিক নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে এবার জড়াল দিব্যেন্দু অধিকারী ও ভারতী ঘোষের নাম

ভ্যালেনটাইন্স-ডে’তে প্রেমের 8 বছর, জেসিবি চড়ে বিয়ে করতে গেলেন বর

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর