নিজস্ব প্রতিনিধি: ৪ লাখ লোকের কাছে বৃহস্পতিবার সরকারি পরিষেবা পৌঁছে যাবে। মাধ্যমিক পরীক্ষা হলে এই অনুষ্ঠান করা যাবে না। লক্ষ্মীর ভান্ডার, সবুজসাথীর সাইকেল যাতে পড়ে না থাকে তাই এই সভা করে সেগুলি বিতরণ করা হচ্ছে। মেদিনীপুরের প্রশাসনিক সভা থেকে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরে সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। মুখ্যমন্ত্রী এই সভামঞ্চ থেকে একগুচ্ছ প্রকল্পের শিলান্যাস করেন। পাশাপাশি পরিষেবা প্রদানের সূচনা করেন। লক্ষ্মীর ভান্ডারের সুবিধা মহিলারা ৬০ বছর বয়সের পরেও পাবেন বলে এদিন জানান মুখ্যমন্ত্রী। এই প্রকল্পে তফসিলি জাতি-উপজাতির মহিলাদেরকে মাসে ১০০০ টাকা ও সাধারণ মহিলাদের মাসে ৫০০ টাকা দেয় রাজ্য সরকার। তবে এই সুবিধা দেওয়া হত ২৫ থেকে ৬০ বছর বয়সী মহিলাদের। বৃহস্পতিবার রাজ্য বিধানসভায় বাজেট পেশ করার সময় রাজ্যের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানান, এবার থেকে ৬০ বছরের বেশি বয়সী মহিলারাও লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। এতদিন ৬০ বছরের পর ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ পেতেন না মহিলারা। বার্ধক্য ভাতার জন্য আলাদা করে আবেদন করতে হত। কিন্তু এবার সেই ঝঞ্ঝাট থেকে মুক্তি মহিলাদের
এদিনের সভামঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, জল ধরো জল ভরো প্রকল্পে ৪ লাখ পুকুর কাটা হয়েছে। ৮টা ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক তৈরি করা হয়েছে। পড়ুয়াদের সুবিধার্থে ঐক্যশ্রী, স্বামী বিবেকানন্দ মেরিট কাম মিনস স্কলারশিপ, কন্যাশ্রী, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড-সহ একাধিক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। ক্লাস নাইনে উঠলে সবুজ সাথী সাইকেল, দ্বাদশে উঠলে ছাত্রছাত্রীরা ট্যাব পাবে বলে জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। খড়গপুড়ে সাইকেল পার্ক সহ একাধিক শিল্প উদ্যোগ গড়ে তোলা হয়েছে। রাজ্যে আরও তিনটি ইন্ডাস্ট্রি করিডোর হচ্ছে। জঙ্গলমহলে দাঁড়িয়ে তিনি আরও বলেন, যে সমস্ত মাওবাদী আত্মসমর্পণ করেছিল, তাদের প্রায় সকলের চাকরি করে দিয়েছি। আদিবাসীদের জন্য জয় জোহার পেনশন দেওয়া হয়।