নিজস্ব প্রতিনিধি: শুরু হয়ে গেল দেশের বুকে অষ্টাদশ লোকসভার নির্বাচন(Loksabha Election 2024)। এদিন সকাল থেকেই দেশের ১০২টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা শুরু হয়। সেই ১০২টি কেন্দ্রের মধ্যে বাংলার(Bengal) ৩টি কেন্দ্রও ছিল। সেই ৩ কেন্দ্রে এদিন সকাল থেকেই বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনা ঘটে। দুপুর ২টো পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনে(ECI) কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্র থেকে মোট ৩২৩টি অভিযোগ জমা পড়েছে, যার মধ্যে ২৮৮টির সমাধান করা হয়েছে বলে কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে। সেই সব ঘটনার জেরে এদিন মুর্শিদাবাদের(Murshidabad) মাটি থেকে সরব হন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। মূলত, কেন্দ্রীয় বাহিনীর(Central Force) ব্যবহার নিয়েই তিনি তোপ দাগেন কমিশনকে। তাঁর দাবি, রাজ্য পুলিশকে সরিয়ে রেখে একাধারে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ব্যবহার কীভাবে অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠ নির্বাচনের ছবি হতে পারে। যেখানে কেন্দ্রের ভোট হচ্ছে, সেখানে কেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর ব্যবহার হবে!
এদিন মুর্শিদাবাদ জেলায় মমতা ২টি সভা করেন। প্রথম সভাটি তিনি করেবন জেলার হরিহরপাড়ায় মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী আবু তাহের খানের সমর্থনে। তারপরে তিনি দ্বিতীয় সভাটি করে সুতিতে জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী খলিলুর রহমানের সমর্থনে। সেই সভা থেকেই তিনি সরব হন কেন্দ্রীয় বাহিনীর ব্যবহার নিয়ে। তিনি বলেন, ‘উত্তরবঙ্গের ভোটে দুষ্টুমি হচ্ছে! আমি খবর পাচ্ছি। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে আমি ভালবাসি। আমি ওদের বিরুদ্ধে নয়। কিন্তু বিজেপি ওদের পার্টি ক্যাডার হিসাবে ব্যবহার করছে। আমি একটা কথা ইংরেজিতে বলব। যাতে কথাটা নির্বাচন কমিশনের কানে পৌঁছয়। আমার প্রশ্ন, উত্তরবঙ্গের ভোটে শুধু কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহার করা হচ্ছে কেন? কেন সেখানে রাজ্য পুলিশ বা নিরাপত্তাবাহিনীকে ব্যবহার করা হচ্ছে না। তা হলে কী করে আমরা অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন হচ্ছে বলে বিশ্বাস করব।’
এর পাশাপাশি মমতা বলেন, ‘পকেটমারদের দেখেছেন? যারা পকেটমারি করে, তারাই প্রথমে পকেটমার, পকেটমার বলে চিৎকার করে যাতে নিজেরা পালিয়ে যেতে পারে। বিজেপিও তাই করে। ওরা সবচেয়ে বড় চোর, তাই চোর চোর করে চিৎকার করে বেড়াচ্ছে। আর সব চোরেরা বিজেপিতে গিয়ে ভাল হয়ে যাচ্ছে। ওয়াশিং মেশিন ভাজপা। ভোটের ২৪ ঘণ্টা আগে একটি কাগজে সই করানো হয়েছে। ভোটে বড় গন্ডগোল হয়েছে বলে এই অ্যাকশন নিতে বাধ্য হলাম। কোনও বড় অভিযানে যাওয়ার আগে বাড়ির লোককে দিয়ে এ রকম বন্ডে সই করানো হয়। আর এরা ভোট শুরুর আগেই ভোটে অশান্তির ঘণ্টা বাজিয়ে দিল। নির্বাচনের মৃত্যুঘণ্টা বাজিয়ে দিল। এটা অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন হচ্ছে!’