এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

নিখোঁজ বর্গাদারদের টাকা জমা থাকবে ট্রেজারিতে, সিদ্ধান্ত রাজ্যের

নিজস্ব প্রতিনিধি: শিল্পের জন্য জমি কিনেও তা ফেলে রাখতে হচ্ছে। কেননা জমির চরিত্র বদল করা যাচ্ছে না। আর সেই জমির চরিত্র বদল আটকে যাচ্ছে বলে সেই জমিতে আর নতুন করে কিছু নির্মাণও করা যাচ্ছে না। ধাক্কা খাচ্ছে রাজ্যের বুকে শিল্প গড়ার কাজ। জমির চরিত্র বদল না করার পিছনে আবার উঠে আসছে, অন্য কারণ। সংশ্লিষ্ট জমিতে একসময় কাজ করা বর্গাদারদের(Contructual Farmers) খুঁজে না-পাওয়াতেই আটকে যাচ্ছে চরিত্র বদলের প্রক্রিয়া। কারণ আইন অনুযায়ী এই বর্গাদারদের ক্ষতিপূরণ না মেটালে জমির চরিত্র বদল কার্যত অসম্ভব। আর এই ক্ষেত্রেই এবার বড় পদক্ষেপ নিল রাজ্যের ক্ষমতাসীন মা-মাটি-মানুষের সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, নবান্ন। এবার থেকে বর্গাদারদের খোঁজ না-পাওয়া গেলে তাঁদের ন্যায্য ক্ষতিপূরণ রাজ্যের ট্রেজারিতে জমা রাখা থাকবে। কিন্তু জমির চরিত্র বদলের কাজ আর ফেলে রাখা হবে না।

আরও পড়ুন আশায় আশায় মরে চাষা, DA আন্দোলনকারীদের এখন এমনই দশা

রাজ্যে তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসে শিল্পক্ষেত্রে বাংলাকে(Bengal) দেশের এক নম্বর করার ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই অনুযায়ী ইন্ডাস্ট্রিয়াল করিডর গড়া থেকে শুরু করে নানাবিধ পদক্ষেপ করেছে রাজ্য সরকার। তবে শিল্পের জন্য জমি(Land for Industry) পাওয়া ছিল একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এবার তা আরও সহজ করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। দেখা যাচ্ছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই জমির চরিত্র বদল প্রক্রিয়া সম্পন্ন না-হওয়াতেই পড়ে থাকছে শিল্পের জন্য কেনা জমি। সংশ্লিষ্ট জমিতে একসময় কাজ করা বর্গাদারদের খুঁজে না-পাওয়াতেই আটকে যাচ্ছে চরিত্র বদলের প্রক্রিয়া। কারণ আইন অনুযায়ী এই বর্গাদারদের ক্ষতিপূরণ(Compensation) না মেটালে জমির চরিত্র বদল কার্যত অসম্ভব। তবে এই সমস্যা আর দীর্ঘায়িত করতে রাজি নয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এর হাত থেকে বিনিয়োগকারীদের নিস্তার দিতে নজিরবিহীন পদক্ষেপ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার থেকে বর্গাদারদের খোঁজ না-পাওয়া গেলে তাঁদের ন্যায্য ক্ষতিপূরণ রাজ্যের ট্রেজারিতে জমা রাখার সুবিধা চালু করা হল। ফলে আর অকারণে আটকে থাকবে না শিল্পস্থাপনের কাজ। রাজ্যের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের মাধ্যমে এই পদক্ষেপ করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন ‘রামনবমী নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়’ কড়া বার্তা তোগাড়িয়ার

নবান্ন সূত্রে খবর, রাজ্যে প্রায় ২০ লক্ষ বর্গাদারদের নাম নথিভুক্ত রয়েছে। তাঁরা কোন জমিতে কাজ করতেন তাও লিপিবদ্ধ রয়েছে রাজ্যের ভূমি দফতরের তথ্যে। তবে এঁদের মধ্যে অনেকেরই এখন আর বর্গাদার হিসেবে কাজ করেন না। অনেকে আর বসবাসও করেন না সংশ্লিষ্ট এলাকায়। ফলে জমি কেনার পরে এদের খুঁজে বের করে ক্ষতিপূরণ তুলে দিতে কালঘাম ছুটছে জমির নয়া ক্রেতাদের। আর তাঁদের খুঁজে না-পাওয়া গেলে শিল্পের জন্য কেনা জমি অনির্দিষ্টকালের জন্য পড়ে থাকছে। তাই এবার প্রতিটি জেলার ট্রেজারিতে পৃথক একটি করে অ্যাকাউন্ট খোলা হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে। যে জেলার জমি নিয়ে সমস্যা সেই জেলার এই সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্টে জমা পড়বে খোঁজ না-পাওয়া বর্গদারের প্রাপ্য অর্থ। ভবিষ্যতে সংশ্লিষ্ট বর্গাদার ফিরে এসে নিজের ক্ষতিপূরণ দাবি করলে, সেই অ্যাকাউন্টে জমা পড়া টাকা তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হবে। তবে এই নিয়ম শুধুমাত্র শিল্পের জন্য নেওয়া জমির ক্ষেত্রেই কার্যকর হচ্ছে। নিয়মটি চালু হচ্ছে ১৯৫৫ সালের West Bengal Land Reforms Act 20B(5) ধারা মেনে। এই নিয়ম অনুযায়ী একজন বর্গাদারের ৬ বছরের আয়ের সমতুল অর্থ ক্ষতিপূরণ হিসেবে দিতে হয়। সেটাই ক্ষতিপূরন হিসাবে তুলে রাখছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

দীর্ঘ ১৩ মাস পর মুর্শিদাবাদে নিজের বাড়িতে ফিরলেন বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা

মানিকচকের মথুরাপুর হাটে বিক্রি হচ্ছে সরকারি ত্রাণের ত্রিপল, তদন্তের নির্দেশ জেলা শাসকের

বনগাঁতে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে ৫৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী নামল

দুর্গাপুর থানার পুলিশ গ্রেফতার করল বাইক চুরি চক্রের পান্ডাকে, উদ্ধার ৬’টি মোটরসাইকেল

শান্তি আর উন্নয়নের স্বার্থে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল এবার পার্থ’র পাশে

কালিয়াচকে শৌচাগারের পরিত্যক্ত ট্যাংকিতে বোমা বিস্ফোরণ, এলাকায় চাঞ্চল্য

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর