নিজস্ব প্রতিনিধি: বিশ্ব হিন্দু পরিষদ(Vishwa Hindu Parioshad) ছেড়ে বেড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। তৈরি করেছেন নিজের নয়া সংগঠন অর্ন্তরাষ্ট্রীয় হিন্দু পরিষদ(Antarashtriya Hindu Parishad)। সেই সংগঠনের অনুষ্ঠানের মঞ্চে দাঁড়িয়েই তিনি নাম না করে আক্রমণ শানলেন পদ্মশিবিরকে। আর সব থেকে বড় কথা তিনি সেই বার্তা আবার দিলেন খাস মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) রাজ্যে দাঁড়িয়ে। নজরে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের প্রাক্তন প্রধান প্রবীণ তোগাড়িয়া(Pravin Togadia)। বৃহস্পতিবার খাস কলকাতার(Kolkata) মাটিতে দাঁড়িয়ে তিনি নাম না করেই নিশানা বানিয়েছেন বিজেপিকে(BJP)। সাফ জানিয়েছেন, ‘রামনবমীর শোভাযাত্রায় গুজরাটের বরোদায়, উত্তরপ্রদেশের লখনউতে এবং বাংলায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনা নিয়ে রাজনীতি হওয়া উচিত নয়। রামনবমী নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়।’ আর এই মন্তব্যের জেরেই এখন তীব্র অস্বস্তিতে পড়েছে গেরুয়া ব্রিগেড।
আরও পড়ুন শুক্রবারই সুপ্রিম দ্বারে DA মামলার শুনানির সম্ভাবনা
লক্ষ্যণীয় ভাবে যেদিন কলকাতা হাইকোর্ট রামনবমীকে ঘিরে বাংলার বুকে ঘটে যাওয়া অশান্তির ঘটনায় NIA তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে সেই দিনই গেরুয়া ব্রিগেডকে নিজের নিশানা বানিয়েছেন এই প্রবীণ হিন্দুত্ববাদী নেতা। কার্যত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার প্রথম থেকেই বলে আসছে, গেরুয়া ব্রিগেডই রামনবমীর মিছিল থেকে বাংলার বুকে ৩ জায়গায় অশান্তি ছড়িয়েছে। রাজ্যের সেই অভিযোগ আরও মান্যতা পেয়েছে হাওড়ায় রামনবমীর মিছিলে বন্দুক হাতে নাচ করা যুবক গ্রেফতার হওয়ায়। গেরুয়া ব্রিগেড থেকে অশান্তি ছড়াতে সেদিন যে বিহারের মুঙ্গের থেকে গুন্ডা ভাড়া করে আনা হয়েছিল সেই তথ্যও সামনে এসেছে। এরপরেই তোগাড়িয়ার মন্তব্য কার্যত রাজ্য সরকার এবং তৃণমূলের অবস্থানকেই আরও শক্ত করল।
আরও পড়ুন বজ্রপাতে নিহত ১৮জনের পরিবারকে ২ লক্ষের ক্ষতিপূরণ রাজ্যের
একসময় রাম মন্দির আন্দোলনের মুখ হিসাবে দেশজুড়ে পরিচিতি রয়েছে প্রবীণ তোগাড়িয়ার। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ছেড়ে এখন তিনি নিজস্ব সংগঠন গড়লেও দেশের রাজনীতির মঞ্চে তাঁর গুরুত্ব রয়ে গিয়েছে। কলকাতার বুকে দাঁড়িয়ে তিনি যে ভাবে বাংলার রাজ্য সরকার ও শাসক দলের দাবিকে ঘুরপথে মান্যতা দিয়েছেন তা সর্বভারতীয় রাজনীতিতে বিজেপি তথা গেরুয়া ব্রিগেডের মুখ পোড়াবার পক্ষে যথেষ্ট। রাম্নবমীকে ঘিরে অশান্তি ও তার পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল অভিযোগ করেছে, সবটাই বিজেপির বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ। রাজ্যে হিংসা ছড়িয়ে NIA’র হাতে তদন্তভার তুলে দেওয়াটাই ছিল গেরুয়া শিবিরের ছক। প্রবীণ তোগাড়িয়ার কথাতেও অনেকটা সেই সুরই এবার শোনা গেল। স্বাভাবিক ভাবেই এই মন্তব্য ঘিরে অস্বস্তি ছড়িয়েছে পদ্মশিবিরে।