এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

৫০০ কোটির নয়া সেতু বর্ধমানে, লাভবান হবে ৩ জেলা

নিজস্ব প্রতিনিধি: একটা সেতু। সেটা ধুঁকছে। মাসের অর্ধেক সময় জুড়েই চলে তার সংস্কারের কাজ। আর তার জেরে চলে যান নিয়ন্ত্রণের পালা। তাতে ভোগান্তির মুখে পড়েন ৩ জেলার লক্ষাধিক মানুষ। ঘুরপথে বেশি টাকা খরচ করে তাঁদের যাতায়াত করতে হয়। কিন্তু সেই ভোগান্তি কেটে যেতে চলেছে আগামী ৩-৪ বছরের মধ্যেই। কেননা প্রায় ৫০০ কোটি টাকা খরচ করে সেখানে বিশ্বমানের এক সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) নেতৃত্বাধীন সরকার। নজরে পূর্ব বর্ধমান(Purba Burdhwan) ও বাঁকুড়া(Bankura) জেলার মধ্যে দামোদর নদের(Damodar River) ওপরে থাকা কৃষক সেতু(Krishak Setu)। এই সেতুর পাশেই নতুন সেতু গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। আর এই সেতু নির্মাণ হয়ে গেলে লাভবান হবে পূর্ব বর্ধমান, বাঁকুড়া ও হুগলি জেলার লক্ষাধিক মানুষ।

আরও পড়ুন ক্যানসার চিহ্নিতকরণে ‘ক্যানসার হাব’ তৈরি করছে রাজ্য

বর্ধমান শহরের সঙ্গে পূর্ব বর্ধমান, হুগলি এবং বাঁকুড়া জেলার যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হল দামোদর নদের ‌ওপর থাকা কৃষক সেতু। কিন্তু ৫০ বছরেরও বেশি পুরনো এই সেতুর অবস্থা রীতিমত বেহাল। অধিকাংশ সময় তা বন্ধ রাখতে হয় সংস্কারের জন্য। চূড়ান্ত নাকাল হতে হয় এই তিন জেলার বাসিন্দাদের। এই সমস্যার পাকাপাকি সমাধান করতেই মুখ্যমন্ত্রী এই সেতুর পাশেই একটি নতুন সেতু গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তার জন্য রাজ্য পূর্তদফতরের আধিকারিকরা এলাকা পরিদর্শনও করে গিয়েছেন। তারপরই নয়া সেতু গড়ার ব্যাপারে সিলমোহর দিয়েছে নবান্ন। ওই নতুন সেতু নির্মাণের পাশাপাশি সেখান থেকে বাঁকুড়া মোড় পর্যন্ত রাজ্য সড়কের প্রায় ৬ কিলোমিটার অংশও সম্প্রসারণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দুই লেনের ওই সড়ক চার লেন করার পরিকল্পনা হয়েছে। সম্পূর্ণ প্রকল্পটির জন্য প্রায় ৫০০ কোটি টাকা খরচ হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট আধিকারিকরা। প্রাথমিক কাজকর্ম মিটিয়ে চলতি বছর শারদোৎসবের পরেই সেতু নির্মাণের কাজ শুরুর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে নবান্ন সূত্রের খবর। 

আরও পড়ুন আদিবাসী সংগঠনের ডাকে রেল অবরোধ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়

নতুন সেতু নির্মীত হলে লাভ কোথায় হবে? নতুন সেতু নির্মাণ হয়ে গেলে বাঁকুড়া ও হুগলি জেলার মানুষ খুব সহজেই বর্ধমান শহরে চলে আসতে পারবেন। আবার পূর্ব বর্ধমান জেলার মানুষজন খুব সহজেই ওই দুই জেলায় চলে যেতে পারবেন। কৃষক সেতু অনেক পুরনো হওয়ায় তার ভারবহন ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে। তার জেরে নিত্যদিনই রীতিমত ঝুঁকি নিয়েই দামোদর পারাপার করতে হয় সাধারণ মানুষকে। যান চলাচল নিয়ে মাঝেমধ্যেই সমস্যা দেখা দেয়। তাই একটি বিকল্প সেতুর দাবি এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরেই করে আসছিলেন। অবশেষে সেই দাবি পূরণ করতে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। কৃষক সেতু বন্ধ থাকলে একমাত্র বিকল্প পথ হল জামালপুর সেতু, কৃষক সেতু থেকে যার দূরত্ব প্রায় ৩৩ কিলোমিটার। এর মাঝে পারাপারের অন্য কোনও রাস্তা না থাকায় চূড়ান্ত নাকাল হতে হয় মানুষকে। মাঝেমধ্যে  দু’-একটি বাঁশের সাঁকো থাকলেও তা সমস্যা মেটানোর জন্য যথেষ্ট নয়। বর্ষায় দামোদরে জল বাড়লে এই সাঁকোগুলি বন্ধ করে দিতে হয়। তখন নৌকো ছাড়া আর কোনও উপায় থাকে না। এবার নতুন সেতু তৈরি হয়ে গেলে এই ভোগান্তি অনেকতাই কমবে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

তিন তোলাবাজ যুবককে গ্রেফতারের দাবিতে শান্তিপুর থানা ঘেরাও করে ডেপুটেশন দিলেন আমজনতা

জনজাতি সম্প্রদায়কে নিয়ে মায়াপুর ইসকনের তিনদিন ব্যাপী কনভেনশন

নিউটাউনে উদ্ধার হওয়া ক্ষতবিক্ষত যুবক করুণাময়ীর এইচএসবিসি ব্যাংকের কর্মী

মালদার চাঁচলে মিঠুনের রোড শোতে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান তৃণমূলের

তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্রের সমর্থনে গঙ্গারামপুরে দেবের রোড শোতে জনসুনামি

‘বিজেপির ১০ জন নেতা যোগাযোগ রাখছেন’, বোমা ফাটালেন অভিষেক

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর