নিজস্ব প্রতিনিধি, বোলপুর: দলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল গরুপাচার কাণ্ডে জেলে। এতদিন একাই সংগঠনকে সামলে রেখেছিলেন তিনি। ফলে কিছুটা হলেই মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের নিচুতলার নেতা-কর্মীরা। অনুব্রতহীন বীরভূমে দাঁত ফোঁটাতে মরিয়া হয়ে আসরে ঝাঁপিয়েছে বিজেপি সহ বিরোধীরা। এই পরিস্থিতিতে দলীয় নেতাদের খেয়োখেয়ি ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াইয়ের নির্দেশ দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘নিজেদের মধ্যে লড়াই ভুলে সাধারণ মানুষের কাছে যান। ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নামুন। আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকলে তৃণমূল কংগ্রেসকে কেউ হারাতে পারবে না।’
চারদিনের সফরে সোমবার বিকেলেই বোলপুরে পৌঁছন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথমে শান্তিনিকেতনে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের বাড়িতে যান। তাঁর সঙ্গে দেখা করে দুবরাজপুরের এক অতিথিশালায় ওঠেন। সেখানেই সন্ধ্যায় জেলার বিধায়ক, সাংসদ সহ জনপ্রতিনিধি ও সাংগঠনিক পদাধিকারী মিলিয়ে ৭০ জনের সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে জেলায় সাংগঠনিক কাজকর্ম নিয়ে খোঁজখবর নেন। সূত্রের খবর, দলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল জেলে থাকলেও সাংগঠনিক কাজকর্মে যাতে স্থবিরতা না আসে সে দিকে নজর রাখার নির্দেশ দেন তৃণমূল সুপ্রিমো। লড়াই ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে ঝাঁপিয়ে পড়তে বলেন। কোনও সমস্যা হলে নিজেদের মধ্যে কথা বলে মিটিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেন। বৈঠকে নানুর ও দুবরাজপুরের সংগঠন নিয়ে ক্ষোভও উগরে দেন তৃণমূল নেত্রী।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে দলের অন্দরের ফাটল রুখতে এদিনের বৈঠকে জেলা কোর কমিটিতে আরও তিন নেতা-নেত্রীকে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দেন মমতা। সেই নির্দেশ মেনে অনুব্রত মণ্ডলের বিরোধী শিবিরের নেতা হিসেবে পরিচিত সাংসদ শতাব্দী রায়, কাজল শেখ এবং অসিত মালকে কোর কমিটির সদস্য করা হয়। এদিনের সাংগঠনিক বৈঠকে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, চন্দ্রনাথ সিনহা, জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী, অভিজিৎ সিংহরা উপস্থিত ছিলেন।