এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

২টি কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা চেয়ে মোদিকে চিঠি দিলেন মমতা

নিজস্ব প্রতিনিধি: কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের আমলে দেশজুড়ে চালু হওয়া ১০০ দিন কাজের প্রকল্পে(100 Days Work) দেশের আর পাঁচটি রাজ্যের তুলনায় বাংলায় কাজ অনেক বেশি হয়েছে। বেশ কয়েকবারই বাংলা এই প্রকল্পে দেশের মধ্যে প্রথম স্থান দখল করেছে। আবার একইরকম ভাবে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা(Pradhanmantri Awas Yojna) প্রকল্পেও দেশের মধ্যে বেশ কয়েকবারই প্রথম স্থান দখল করেছে বাংলা। অথচ এখন দেখা যাচ্ছে এই দুই প্রকল্পেই কেন্দ্র সরকার(Central Government) বিগত ৭-৮ মাস ধরে কোনও টাকাই দিচ্ছে না। ইতিমধ্যেই এই বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার সরব হয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। এবার তিনি এই বিষয়েই চিঠি দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে(Narendra Modi)। তাতে তিনি ওই দুই প্রকল্পের জন্য বাংলার বরাদ্দের টাকা দ্রুত দেওয়ার জন্য আর্জি জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার দিল্লির সাউথব্লকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাসভবনের ঠিকানায় পাঠানো হয়েছে সেই চিঠিটি।

চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ১০০ দিনের কাজের শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি গত চার মাস ধরে বকেয়া রেখে দিয়েছে। বাংলাকে ওই টাকা না দেওয়ায় এ রাজ্যের গ্রামে থাকা দরিদ্র মানুষ অসুবিধায় পড়ছেন। কেননা ১০০ দিনে কাজের মজুরি বাবদ কেন্দ্রের দেওয়া কয়েকটি টাকার ওপরেই তাদের জীবন ধারণ নির্ভর করে। টাকা আটকে রেখে কেন্দ্র কার্যত বাংলার প্রতি বঞ্চনা করছে। কেননা বকেয়া টাকার পরিমাণ প্রায় ৬৫০০ কোটি টাকা। একইরকম ভাবে কেন্দ্র সরকার প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকাও বকেয়া রেখে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে বাংলার পারফরম্যান্স সবচেয়ে ভাল হওয়ার পরও নতুন করে কোনও বরাদ্দ হয়নি বাংলার জন্য। আবাস যোজনা প্রকল্পে গোটা দেশে পয়লা নম্বরে রয়েছে বাংলা। ৩২ লক্ষ বাড়ি বানানো হয়েছে এই প্রকল্পের আওতায়। নতুন করে অর্থ বরাদ্দ না করলে সাধারণ মানুষজন মাথার ওপর ছাদ গড়তে খুবই সমস্যায় পড়ছেন। তাই দ্রুত যেন প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রককে টাকা দেওয়ার কথা জানান।

এদিকে রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দ্র থেকে টাকা না আসায় এখন প্রতিটি জেলার গ্রামীণ এলাকায় দু’রকম সমস্যা দেখা দিয়েছে। এক তো, একশো দিনের কাজ প্রকল্পে মজুরি না মেলায় শ্রমিকরা বেঁকে বসেছে। তাঁরা এখন আর ১০০ দিন কাজের প্রকল্পে যোগ দিতে চাইছে না। ফলে রাজ্যের অধিকাংশ পঞ্চায়েতে এই প্রকল্পের কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সেই সঙ্গে আগামী দিনে এই প্রকল্পে কেন্দ্রে টাকা এলেও চলতি অর্থবর্ষে ১০০ দিন কাজের প্রকল্পের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে কি না, তা নিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছে। কেননা নভেম্বর থেকে মে মাস পর্য‌ন্তই ১০০ দিনের কাজের মরসুম। বর্ষা চলে এলে কাজের গতি কমে যায়। তাই কাজের মরসুমেই যদি কাজ ধাক্কা খায় তা হলে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়বে বলে জানিয়েছেন অধিকাংশ জেলার প্রশাসনের কর্তারা। তাঁরা মানছেন, মজুরি না-মেলায় অনেক জবকার্ডধারী কাজ করতে চাইছেন না। সেই কারণেই দৈনিক শ্রমদিবসের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা যাচ্ছে না।

রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের এক কর্তা আবার জানিয়েছেন, কেন্দ্র টাকা না-পাঠানোর জন্য রাজ্য জুড়েই এই দুই প্রকল্পের ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিয়েছে। কেন্দ্রের কাছে টাকা চেয়ে নিয়মিত দরবার করা হচ্ছে। কিন্তু টাকা আসছে কই! ১০০ দিন কাজের প্রকল্পে কাজ শেষ হওয়ার ১৫ দিনের মধ্যেই পঞ্চায়েতগুলির পক্ষ থেকে জবকার্ডধারীদের বিল বা এফটিএ তৈরি করে অনলাইনে তা পাঠিয়ে দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন দফতরের পোর্টালে। সেখান থেকে এক সপ্তাহের মধ্যেই জবকার্ডধারীদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি মজুরির টাকা চলে আসে। কিন্তু এ বারে গত নভেম্বর মাস থেকে সেই টাকা আসছে না। আর তাতেই সমস্যা দেখা দিয়েছে সব জেলাতেই।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

লোকসভা ভোটের আগে ময়ূরেশ্বরে ২ সশস্ত্র দুষ্কৃতী হাতেনাতে পাকড়াও

রবিবার দক্ষিণবঙ্গের ৬ জেলায় তাপপ্রবাহের ‘লাল সর্তকতা’ জারি

‘সমুদ্রসাথী’ প্রকল্পে মৎস্যজীবীদের নাম নথিভুক্ত নিয়ে বিভ্রাট, ক্ষুব্ধ মৎস্যজীবীরা

‘এ রাজ্যে তো কংগ্রেস-সিপিএম-বিজেপি ভাই-ভাই সঙ্ঘ’, কটাক্ষ মমতার

‘কে কী খাবে তা নিয়ে আপনারা কেন ধমকাবেন’, প্রশ্ন ক্ষুব্ধ মমতার

‘কাকে সুবিধা করিয়ে দেওয়ার জন্য ৩ মাস ধরে ভোট’, প্রশ্ন মমতার

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর