নিজস্ব প্রতিনিধি: আবারও জেলা সফরে বার হচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। বৃহস্পতিবার তিনি নিজেই সেই কথা জানালেন এক সাংবাদিক বৈঠকে। কলকাতার তপসিয়ায় থাকা তৃণমূল ভবনে এখন চলছে সংস্কারের কাজ। সেই কারনে চিংড়িঘাটার কাছে ই এম বাইপাসের পাশে থাকা মেট্রোপলিটান এলাকায় তৃণমূলের অস্থায়ী কার্যালয় খুলেছে। অক্ষয় তৃতীয়ার দিন সেখানে রীতিমত পুজোপাঠ করে গৃহপ্রবেশের আয়োজন করে জোড়াফুল শিবির। সেদিন অবশ্য মমতা নতুন ভবনে আসেননি। এসেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারন সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু বৃহস্পতিবার সেই ভবনেই প্রথমবারের জন্য পা রাখলেন মমতা। সেখানেই দলের রাজ্য কমিটির বর্ধিত বৈঠকে অংশ নেন। তারপরেই মুখোমুখি হন সাংবাদিকদের। সেখানেই তিনি তাঁর জেলা সফরের(District Visist) চিত্র তুলে ধরেন।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, আগামী ৫ মে থেকে ১০জুন এই একমাস বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মানুষের কাছে পৌঁছবে রাজ্যের সরকার। সেই সঙ্গে ১০ মে থেকে শুরু হবে তাঁর জেলা সফর। তিনি বলেছেন, ‘পশ্চিম মেদিনীপুর(Paschim Midnapur) যাব ১০ মে। সেখানে একটা প্রশাসনিক বৈঠক হবে। ১১ মে বেলা ১২টায় একটি দলীয় বৈঠক করব। এর পর ঝাড়গ্রামে(Jhargram) একটি প্রশাসনিক বৈঠক করব। ১২ মে বেলা ১২টায় ঝাড়গ্রাম স্টেডিয়ামে দলীয় বৈঠক করব। তার পর কলকাতায় ফিরে আসব। পরে আবার বীরভূম(Birbhum), বাঁকুড়া, পুরুলিয়ায় যাব। সেখানেও প্রশাসনিক বৈঠক হবে। জুন মাসে আলিপুরদুয়ারে যাব। ২১ জুলাইয়ের অনুষ্ঠানও হবে এই বছর। ২০ মে থেকে তার প্রসেস শুরু হবে। ব্লক, জেলা সব পুনর্গঠন হবে। ওই তারিখ পর্যন্ত সাজেশন নেওয়া হবে। কমিটি তৈরি হয়ে গেলে পার্টির প্রোগ্রাম আবার বলে দেওয়া হবে।’
কিছুদিন আগেই জানা গিয়েছিল খুব শীঘ্রই পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সফরে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু এদিন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সফর নিয়ে তিনি কিছু জানাননি। একই সঙ্গে বীরভূম, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলায় গিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করার কথা জানালেও তার দিনক্ষণ জানাননি। তাতেই মনে করা হচ্ছে চলতি মে মাসেই হয়তো তিনি এই ৩ জেলার সফরে যাবেন। পাশাপাশি তিনি এদিন যে ব্লক ও জেলা পুনর্গঠনের যে কথা জানিয়েছেন তা শুনে অনেকেরই ধারনা মুখ্যমন্ত্রী আগামী দিনে রাজ্যে আরও ব্লক ও ছোট ছোট জেলা গঠন করতে চাইছেন। কোথায় কী ভেঙে নতুন ভাবে কী গড়া যাবে সেটাই আগে দলের নেতাদের কাছ থেকে শুনে নিতে চান তাঁদের মতামত হিসাবে। সেই সঙ্গে আমজনতার অভিমত কী সেটাও খতিয়ে দেখতে চান তিনি। তারপরেই এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি।