এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

দেশের মুখ উজ্জ্বল কর, বলেছিলেন মোদি, ভবিষ্যৎ শুভ হোক, বললেন মমতা

নিজস্ব প্রতিনিধি: মাটির দেওয়ালের বাড়িতে টিনের ছাদ। মা জরির কাজ করে সংসার চালান কোনওক্রমে। সাপ্তাহিক রোজগার মাত্র ৫০০ টাকা। তা-ও নিয়মিত নয় সেই কাজ। দাদা দমকল দফতরের অস্থায়ী কর্মী। সেই বাড়ির ছেলেই জিতে আনল সোনা(Gold Medel)। কমনওয়েলথ গেমস(Birmingham Commonwealth Games 2022) থেকে। গর্বিত ভারত, গর্বিত বাংলা। আর সোনার ছেলের জন্য গর্বিত হাওড়া জেলার দেউলপুর। কেননা এই দেউলপুরেই বাড়ি অচিন্ত্য শিউলির(Achinta Sheuli)। কমনওয়েলথ গেমসে ভারোত্তোলনে সোনা জিতে দেশের মুখ উজ্জ্বল করেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, একাদশতম বাঙালি হিসাবে কমনওয়েলথে সোনা জেতার পাশাপাশি অচিন্ত্য গড়ে ফেলেছেন নতুন গেমস রেকর্ড। এই গেমসে অংশ নেওয়ার আগে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি(Narendra Modi) নিজে কথা বলেছিলেন অচিন্ত্যের সঙ্গে। শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেছিলেন,‘দেশের মুখ উজ্জ্বল কর’। আর সাফল্যের পর বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) টুইট করে অভিনন্দন জানিয়েছেন অচিন্ত্যকে।

অচিন্ত্য কমনওয়েলথ গেমসে কী করেন সেটা দেখতে তাঁর পাড়ার অনেকেই রাত জাগছিল। তাঁরা নিজেদের চখেই দেখেছেন অচিন্ত্যের সোনা জয়। ক্লিন এবং জার্ক বিভাগে প্রথমে অচিন্ত্য ১৬৬ কিলো তোলেন। দ্বিতীয় বারে ১৭০ কিলো তুলতে গিয়ে ব্যর্থ হন। তিন্তু তৃতীয় চেষ্টায় সেই ওজন তুলে নতুন গেমস রেকর্ড গড়ে দেন তিনি। তাঁর তোলা মোট ওজনের পরিমাণ ৩১৩ কিলো। বার্মিংহ্যাম কমনওয়েলথ গেমসে এখনও পর্যন্ত ৬টি পদক জিতেছে ভারত। তার মধ্যে সোনা ৩টি। তিনটিই এসেছে ভারোত্তোলনে। বাংলার প্রথম পদক এবং সোনা অচিন্ত্যর হাত ধরেই এল। সেই সাফল্যের জন্য এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করে জনিয়েছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের তরুণ অচিন্ত্য শিউলি কমনওয়েলথ গেমসে তৃতীয় স্বর্ণপদক জিতেছেন। সত্যিই আমাদের সকলের জন্য গর্বের মুহূর্ত। তাঁর এই সাফল্যকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। আপনার সাফল্য দেশের  অন্যান্যদের জন্য অনুপ্রেরণা হিসাবে কাজ করবে। আপনার ভবিষ্যতের প্রচেষ্টার শুভ হোক।’

অচিন্ত্যের বাবা মারা গিয়েছেন ৯ বছর আগে। অচিন্ত্য আর তাঁর দাদা অলক দুইজনই ভারোত্তোলনকে ভালবেসেছেন জীবনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য। কিন্তু পেটের খিদে বড় দায়। অভাবী সংসারে অচিন্ত্যর মা পূর্ণিমা দেবী জরির কাজ করতেন। মাকে সাহায্য করতে দুই ভাই তাতেও হাত লাগাত। তাতে মাস গেলে ২-৩ হাজার টাকা উঠে আসত ঠিকই, কিন্তু পেট ভরা খাবার জুটত না। ২০১০ সাল থেকে অলক ভারোত্তোলনের অনুশীলন শুরু করেন। পরের বছর থেকে ভাইকেও নিয়ে যেতেন নিজের সঙ্গে। ২০১৩ সালে জাতীয় প্রতিযোগিতায় অংশ নেন দুই ভাই। অচিন্ত্য চতুর্থ হয়েছিলেন। পরের বছর হরিয়ানায় জাতীয় গেমসে ব্রোঞ্জ পান তিনি। যোগ দেন সার্ভিসেসে। অলক দমকলের অস্থায়ী কাজ পেয়ে খেলা থেকে দূরে সরে যান। কিন্তু টিকে যায় অচিন্ত্য। তার হাত ধরেই এল সোনার সাফল্য। সেই সাফল্যের জেরে অচিন্ত জানিয়েছে, ‘আমার লড়াই ছিল নিজের সঙ্গে। সোনা জিততে আসিনি। নিজেকে টপকে যাওয়ার চেষ্টা করছিলাম। সেটা পারিনি বলে খারাপ লাগছে। এই পদক আমি আমার দাদা এবং কোচকে উৎসর্গ করছি। বাবা মারা যাওয়ার পর দাদা আমার জন্য সব কিছু করেছে। নিজে ভারোত্তোলন করত। আমাকে তৈরি করার জন্য সেটাও ছেড়ে দিয়েছে।’ আর ছেলের সাফল্যে অচিন্ত্যের মা জানিয়েছে, ‘আমাদের বিশ্বাসই হচ্ছে না আমার ছেলে এমন কাণ্ড করতে পারে। তবে চোটের পরেও যেভাবে লকডাউনের সময় প্র্যাকটিস করে নিজেকে তৈরি রেখেছে, তারই ফলটা পেল অবশেষে। ওই রাতে ফোন করে আমাদের সুখবরটা জানিয়েছে।’

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

নদিয়ায় জাতীয় সড়কে ভয়াবহ দুর্ঘটনাই মৃত্যু হল এক যুবকের, শোকের ছায়া পরিবারে

অনলাইন প্রতারণা চক্রের ৬ ব্যাক্তিকে গ্রেফতার করল শান্তিপুর থানা

কাঁচালঙ্কা চিবিয়ে খান, বেটে মুখে মাখেন, নদিয়ার শেখর সিকদারের কীর্তিতে হতবাক সকলে

এক ফোঁটা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়ার মধ্যে দিয়ে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা

আন্তর্জাতিক অস্ত্র পাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন শাহজাহান?

সন্দেশখালিতে এনএসজিকে ডেকে রোবট এনে হাত বোমা উদ্ধার করল সিবিআই

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর