এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

সরকারি প্রকল্পের সুবিধাভুক্ত নয় এমন পরিবারও হবে তালিকাভুক্ত

নিজস্ব প্রতিনিধি: সাড়ে তিন দশকের বাম জমানার অবসান ঘটিয়ে বাংলার ক্ষমতায় এসেছেন বাংলার অগ্নিকন্যা তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। ২০১১ সালের সেই পরিবর্তনের পর থেকেই মুখ্যমন্ত্রী উদ্যোগী হয়েছেন রাজ্যের মানুষের আর্থিক উন্নয়নের পাশাপাশি তাঁদের সামগ্রিক জীবনের মানোন্নয়নে। সেই লক্ষ্যেই তিনি প্রায় শতাধিক আর্থ-সামাজিক প্রকল্প(Socio Economic Projects) চালু করেছেন। আর এই সব প্রকল্পের হাত ধরে বাংলার সামগ্রিকভাবে যে আর্থসামাজিক ক্ষেত্রের প্রভূত উন্নয়ন হয়েছে সেটা কেন্দ্রের সরকার যেমন নানান সময়ে স্বীকার করেছে তেমনি স্বীকৃতি এসেছে বিদেশ থেকেও। এবার সেইসব আর্থ সামাজিক প্রকল্প রাজ্যের সব পরিবারের কাছে পৌঁছে দিতে চাইছে মমতার সরকার। সেই জন্য সরকারি প্রকল্পের সুবিধাভুক্ত নয়, এমন পরিবারকে বাছাই করে তালিকাভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চালু করা কিছু প্রকল্পের হাত ধরে বাংলার অসংখ্য পরিবার সরাসরি হাতে আর্থিক সাহায্য পেয়ে যাচ্ছে প্রতি মাসে। কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার(Lakhir Bhandar), জয় জহর, বিধবা ভাতা, বার্ধক্য ভাতা, ইমাম ভাতা, পুরোহিত ভাতার মাধ্যমে রাজ্যের কয়েক লক্ষ পরিবার যেমন উপকৃত হচ্ছে তেমনি স্বাস্থ্যসাথী(Sasthasathi), খাদ্যসাথী, সবুজসাথীর মতো প্রকল্পের মাধ্যমেও উপকৃত হচ্ছে। কিন্তু এটাও সত্যি বাংলার শহর ও গ্রামীণ এলাকার সব পরিবার এই সব প্রকল্পের সুযোগ পাচ্ছে না। আর তা নিয়ে কিছুটা হলেও ক্ষোভ রয়েছে তাঁদের মধ্যে। কেন তাঁরা সেই সব প্রকল্পের সুযোগ পাচ্ছেন না সেটাই এখন খতিয়ে দেখতে চাইছে রাজ্য সরকার। প্রকল্পগুলির নিয়ম ও যোগ্যতা সেক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখতে চাইছে রাজ্য সরকার। যেমন যে বাড়িতে কোনও মহিলা নেই বা থাকলেও তাঁর বয়স ৬০’র বেশি সেই সব বাড়িতে দেখা যাচ্ছে না লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সুযোগ কেউ পাচ্ছেন, না স্বাস্থ্যসাথীর সুযোগ কেউ পাচ্ছেন। আবার কোনও কোনও ক্ষেত্রে পরিবারের আয়ও এই সব প্রকল্পের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। যদিও বিরোধীদের অভিযোগ, তৃণমূলের প্রতি নিঃশর্ত আনুগত্য দেখালে তবেই এই সব প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। যদিও তা মানতে নারাজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল ও সরকার।

নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকারের সর্বোচ্চ স্তর থেকে এবার জেলা প্রশাসনগুলির কাছে নির্দেশ চলে গিয়েছে প্রতিটি জেলায় গ্রামীণ এলাকায় বাড়ি বাড়ি ধরে খোঁজ নিতে হবে যে এমন কোনও পরিবার বাকি পড়ে আছে কিনা যারা এই সব আর্থসামাজিক প্রকল্পের কোনও সুযোগই পান না। এদেরকেই এবার প্রকল্পপ্রাপকদের তালিকায় নথিভুক্ত করতে হবে। শুধু নথিভুক্তই নয়, তাঁরা এই সব প্রকল্পের সুযোগ পাচ্ছেন কিনা সেটাও দেখতে বলা হয়েছে। আগামী ১ নভেম্বর থেকে রাজ্যে শুরু হতে চলেছে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচী। সেখানে এই পরিবারগুলির নাম যাতে নথিভুক্ত হয় সেই দিকটি দেখতে বলা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে। রাজনীতির রঙ না দেখে যাতে সেই নাম নথিভুক্ত হয় সেইদিকেও লক্ষ্য রাখতে বলা হয়েছে। অর্থাৎ বাম বা বিজেপি কিংবা কংগ্রেস সমর্থক কোনও পরিবারের মহিলা যাতে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পান, সেই পরিবারের সদস্যরা যাতে স্বাস্থ্যসাথীর সুযোগ পান সেই দিকটি দেখতে বলা হয়েছে। সেই নির্দেশ মতো ইতিমধ্যেই বেশ কিছু জেলায় সেই সব পরিবারগুলিকে চিহ্নিত করার কাজ শুরুও হয়ে গিয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

আদালত থেকে বেরোনোর মুখেই মেয়েকে দেখে জড়িয়ে ধরলেন শেখ শাহজাহান

ভোটের দিন উত্তর মালদায় প্রাণ হারালেন তৃণমূল কর্মী

গরম বা পুজোর ছুটিতেও নিতে হবে অনলাইন ক্লাস, নয়া নির্দেশ শিক্ষা সংসদের

সল্টলেকের সুইমিং পুলে ১৫ বছরের মহিলা সাঁতারুর রহস্যজনক মৃত্যু

২৬ হাজারের চাকরি বাতিলে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের

‘ভোট দিতে যাবেন, আর ২ টো করে কান মূলবেন’, কেন বললেন মমতা…

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর