নিজস্ব প্রতিনিধি: শ্বশুর বাড়িতে ঘর করছিল অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। খবর পেয়ে প্রিয় ছাত্রীকে বাপের বাড়ি ফেরালেন স্কুলের শিক্ষিকা। জলপাইগুড়ি জেলার সুকান্ত নগর এলাকার ঘটনা।
জানা গিয়েছে অষ্টম শ্রেণির ওই ছাত্রী গত কয়েকদিন ধরে স্কুলে আসছিল না। সে কদমতলা বালিকা বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করত। টানা বেশকিছুদিন ক্লাসে তার অনুপস্থিতি দেখে খোঁজ নেন কদমতলা বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রীতা সেনগুপ্ত। আর এরপরই জানা যায় ওই ছাত্রীর বাবা তাকে অত্যন্ত গোপনে বিয়ে দিয়ে দেন। জলপাইগুড়ি থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে গজলডোবা এলাকার এক ২৪ বছর বয়সী ছেলের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দেন তিনি। ঘটনা জানার পর স্কুলের সহ-শিক্ষিকাদের নিয়ে তিনি জেলা প্রশাসন ও চাইল্ড লাইনের দারস্থ হন। তাদের উদ্যোগে সোমবার বিকেলে নাবালিকা ছাত্রীকে ফের বাপের বাড়িতে ফিরিয়ে আনা হয়।
রীতা সেনগুপ্ত জানান, ‘কাজটা খুব সহজ ছিলনা। কারন তারা অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের। বাবা কেরলে কাজ করতো। লক ডাউনের পর ফিরে এসেছিলেন। আর কাজ পাননি। অভাবের সংসারে ধার দেনা করে মেয়েকে বিয়ে দিয়েছিলেন। তাই তিনি মেয়েকে ফিরিয়ে আনতে চাইছিলেন না। পরে তাকে প্রশাসন একপ্রকার জোর করে মুচলেকা নিয়ে মেয়েকে বাড়িতে ফেরায়’।
জলপাইগুড়ি ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, ‘বাল্য বিবাহের বিরুদ্ধে লাগাতার প্রচার করছি আমরা। তারপরেও এমন ঘটনা ঘটায় বাধ্য হয়ে আইনের আশ্রয় নিতে হচ্ছে’। অন্যদিকে মেয়েটির বাবা সঞ্জীব দাস জানান, ‘আমার মেয়েকে ফিরিয়ে এনেছি। এখন আবার স্কুলে যাবে’। একইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ওর ১৮ বছর বয়স হলে ধূমধাম করে বিয়ে দেব’।