এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

বাংলাকে বঞ্চিত করে ১০০ দিনের প্রকল্পে মজুরি বাড়াল কেন্দ্র

নিজস্ব প্রতিনিধি: মোদি জমানায় বাংলাকে(Bengal) বঞ্চনা করার প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখল কেন্দ্র সরকার। বাংলাকে বাদ দিয়ে দেশের সব রাজ্যের জন্য নয়া অর্থবর্ষে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের(100 Days Work Project) বরাদ্দ আগেই ঘোষণা করে দিয়েছে নরেন্দ্র মোদির(Narendra Modi) সরকার। এবার তাঁরা সেই প্রকল্পে মজুরিও(Wages) বাড়ালো যার সুফল পাবেন না বাংলার ১০ লক্ষ মানুষ যারা ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের Jobcard Holders। তবে মোদি সরকার সব রাজ্যের জন্য মজুরি একই হারে বাড়ায়নি। রাজ্যভেদে মজুরি বাড়ানো হয়েছে ৭ থেকে ২৬ টাকা পর্যন্ত। বাংলাকে তো কাজের বরাতই দেওয়া হয়নি, তাই মজুরি বৃদ্ধির প্রশ্নও নেই। কার্যত গ্রাম বাংলার গরীব মানুষদের পেটে লাথি মেরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) ও তৃণমূল কংগ্রেসকে(TMC) জব্দ করার এই গেরুয়া নির্মম পরিকল্পনা রাজ্য রাজনীতি বা জাতীয় স্তরের রাজনীতিতে বিজেপিকে(BJP) আদৌ কোনও সুফল এনে দেয় কিনা তা নিয়ে যেমন প্রশ্ন উঠে গিয়েছে তেমনি উদ্বেগ ছড়িয়েছে বঙ্গ বিজেপির অন্দরেও।

আরও পড়ুন ‘কঙ্কাল কাণ্ড’র নায়ক সুশান্তের পরিবারের ২০জনের চাকরি

কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক গত ২৪ মার্চ ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের মজুরির হারে পরিবর্তন নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। তা কার্যকর হচ্ছে ১ এপ্রিল থেকে। সংশোধনের পর এই প্রকল্পে সবচেয়ে বেশি মজুরি হয়েছে হরিয়ানায়—দৈনিক ৩৫৭ টাকা। সবচেয়ে কম মজুরি হয়েছে মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিশগড়ে—২২১ টাকা করে। গত বছরের তুলনায় সবচেয়ে বেশি মজুরি বেড়েছে রাজস্থানে। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের ২৩১ টাকা থেকে বেড়ে হচ্ছে ২৫৫ টাকা। বিহার ও ঝাড়খণ্ডে মজুরি আট শতাংশ বেড়েছে। ২১০ টাকার পরিবর্তে হয়েছে ২২৮ টাকা। অন্যান্য রাজ্যে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের মজুরি বাড়লেও বাংলার প্রাপ্তির ঘর কিন্তু ফাঁকাই থাকছে। নতুন অর্থবর্ষেও কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বঞ্চনার রাজনীতি থেকে রেহাই দেওয়া হচ্ছে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্যকে। বাংলাকে ভাতে মারতে প্রকল্পে কেন্দ্রের বরাদ্দ আপাতত শূন্যই থাকছে।   

আরও পড়ুন ৭১ হাজারের বেশি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে LPG সংযোগ দিচ্ছেন মমতা

যদিও ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের মজুরির বৃদ্ধি হলেও তা এই প্রকল্পের উপভোক্তাদের মুখে হাসি ফোটাতে পারবে না বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। কেননা ইতিমধ্যেই দেশের গ্রামাঞ্চলের এই কর্মসংস্থান নিশ্চয়তা প্রকল্পে ডিজিটাল হাজিরা শুরু হয়েছে। আর তারপর থেকেই এই প্রকল্পের কাজে শ্রমিকদের যোগদান ক্রমশ নিম্নমুখী হয়েছে দেশজুড়েই, ব্যতিক্রম বাংলা। ডিজিটাল হাজিরা চালু হওয়ার পর জানুয়ারিতে হাজিরা ১০ শতাংশ কমেছিল। ফেব্রুয়ারির পর মার্চে অংশগ্রহণকারী শ্রমিকদের সংখ্যা আরও কমেছে। গত বছরের ডিসেম্বরে এই প্রকল্পে ১.৮৫ কোটি পরিবার কাজ পেয়েছিল। এর পরের মাস অর্থাৎ চলতি বছরের জানুয়ারিতে অ্যাপে হাজিরা বাধ্যতামূলক হয়েছে। আর এরপরই দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলিতে ইন্টারনেট সংযোগ না থাকা ও প্রযুক্তিগত সমস্যায় শ্রমিকদের ভোগান্তির ভূরিভূরি অভিযোগ সামনে এসেছে। হাজিরা নথিভুক্ত করতে কোথাও কোথাও শ্রমিকদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা নেট সংযোগের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে। তারপরও মজুরিও হারাতে হয়েছে বলে অভিযোগ। আরএই কারণেই প্রকল্পে যোগদান কমেছে বলে মনে করা হচ্ছে। জানুয়ারিতে কাজ পেয়েছিল ১.৬৭ কোটি পরিবার। ফেব্রুয়ারিতেও তা অপরিবর্তিত ছিল। মার্চের ২৫ তারিখ পর্যন্ত প্রাপ্ত পরিসংখ্যান অনুয়াযী, তা অনেকটাই কমে হয়েছে ১.১৫ কোটি। অর্থাৎ মমতাকে জব্দ কর তে গিয়ে গিয়ে বিজেপি আর মোদি সরকার পক্ষান্তরে গোটা দেশের গ্রামীণ এলাকার গরীব মানুষদের পেটে লাথ মেরে বসে থাকছে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

অনলাইন প্রতারণা চক্রের ৬ ব্যাক্তিকে গ্রেফতার করল শান্তিপুর থানা

কাঁচালঙ্কা চিবিয়ে খান, বেটে মুখে মাখেন, নদিয়ার শেখর সিকদারের কীর্তিতে হতবাক সকলে

এক ফোঁটা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়ার মধ্যে দিয়ে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা

আন্তর্জাতিক অস্ত্র পাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন শাহজাহান?

সন্দেশখালিতে এনএসজিকে ডেকে রোবট এনে হাত বোমা উদ্ধার করল সিবিআই

রাজ্যে দ্বিতীয় দফার নির্বাচন শান্তিপূর্ণ, দাবি মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর