নিজস্ব প্রতিনিধি: এবারেও হচ্ছে না শান্তিনিকেতন (SHANTINIKETAN) পৌষমেলা (POUSH MELA)। পরিকাঠামোগত অসুবিধার জন্যই মেলার আয়োজন করা সম্ভব হচ্ছে না, বলে বোলপুর পুরসভাকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে। আর সেই চিঠি দিয়েছে শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট। উল্লেখ্য, এই ট্রাস্ট’ই মেলার দায়িত্বে রয়েছে। তবে পুরসভার (BOLPUR MUNICIPALITY) পুরপ্রধান পর্ণা ঘোষ এই প্রসঙ্গে বলেছেন, বিকল্প পৌষমেলার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, অতিমারির কারণে গত ২০২০ সালে ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা বন্ধ ছিল। গত ২০২১ সালে পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় অনেকেই ভেবেছিলেন মেলা করা যাবে। মেলা আয়োজনের জন্য মাঠ চেয়ে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের (VISWABHARATI UNIVERSITY) উপাচার্য ও কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছিল পুরসভা, শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট, বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতি, পৌষমেলা বাঁচাও কমিটি। তবে উত্তর মেলেনি বিশ্বভারতীর তরফে। ‘বিকল্প পৌষমেলা’-র আয়োজন করেছিল ব্যবসায়ী সমিতি এবং বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চ। উদ্যোগ ছিল পুরসভার। এই মেলা হয়েছিল ডাকবাংলো ময়দানে।
এবছরও ঐতিহ্যবাহী মেলা করতে চেয়ে বিশ্বভারতী কর্মী পরিষদের কাছে আবেদন জানিয়েছিল শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট। তবে মেলেনি সদুত্তর। অন্যদিকে, পুরপ্রধানের কাছে ট্রাস্টের আবেদন, বিকল্প মেলার। উল্লেখ্য, ভুবনডাঙার ৪টি মাঠ বিশ্বভারতীর অধীনে। তবে এই মাঠ ভর্তি রয়েছে জঞ্জাল এবং কচুরিপানায়। বাঁধগুলিতেও হয়নি সংস্কার। প্রসঙ্গত, মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৯৫ সালে পৌষমেলা শুরু করেছিলেন। সেই মেলাই পরপর ৩ বছর বন্ধ থাকতে চলেছে। যদিও ঐতিহ্যের রেশ টিকিয়ে রাখতে বিকল্প পৌষমেলার আয়োজনে উদ্যোগী পুরসভা।