নিজস্ব প্রতিনিধি: বাঁশের মাচা এখন অতীত। পঞ্চায়েতের তৈরি করে দেওয়া কংক্রিটের মাচা মেলাচ্ছে ৮ থেকে ৮০ বছর বয়সীকে। হ্যাঁ ঠিকই পড়েছেন। মুর্শিদাবাদ জেলার জলঙ্গতি এমন কংক্রিটের মাচার দেখা মিলল, যেখানে নবীন প্রবীণ একইসঙ্গে বসে আড্ডা দিচ্ছেন। সৌজন্যে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত। সেই মাচায় টাঙানো রয়েছে ব্যানার। যেখানে শোভা পাচ্ছে মনীষীদের মুখের ছবি। সেই ব্যানারের সঙ্গে এক পাশেই রয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাস্যোজ্জ্বল মুখও।
আগে গ্রামে ঘুরলে দেখা মিলত বাঁশের চেরা দিয়ে বা বাঁশের খুঁটি দিয়ে তৈরি মাচা। সাধারণত গ্রামীণ জীবন যাপনের সঙ্গে এই মাচা অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে রয়েছে। যেখানে অবসর সময়ে পাড়ার মানুষ গল্প গুজবে মেতে উঠতেন। কিন্তু বদলেছে সময়। এখন বাঁশের বদলে গড়ে উঠছে কংক্রিটের মাচা। মুর্শিদাবাদ জেলার জলঙ্গির চোঁয়াপারা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বিভিন্ন গ্রামে ১২টি কংক্রিটের মাচা তৈরি করা হয়েছে। এই এক ডজন মাচা নির্মাণ করতে পঞ্চায়েতের খরচ হয়েছে প্রায় ১২ লাখ টাকা। যেখানে মাথার ওপর টিনের ছাউনি দেওয়ার পাশাপাশি বসার পাটাতনে বসানো হয়েছে ঝাঁ চকচকে টাইলস। পিছনে টাঙানো রয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, স্বামী বিবেকানন্দ, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, ক্ষুদিরাম বসু, ভগৎ সিং, মাদার টেরেসা, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আব্দুল কালামের ছবি সম্বলিত ব্যানার। ওই ব্যানারে এক পাশে রয়েছে তৃণমূলের বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিও।
গ্রামে এমন ঝাঁ চকচকে কংক্রিটের মাচা পেয়ে খুশি গ্রামবাসীরাও। ইতিমধ্যে চোঁয়াপাড়া এলাকার আশেপাশের অন্যান্য গ্রামগুলি এমন মাচার দাবিতে সরব হয়েছে। চোঁয়াপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রাকিবুল ইসলাম জানান, গ্রামের বয়স্ক মানুষদের কথা ভেবেই আমরা প্রায় এক লাখ টাকা খরচ করে একেকটি মাচা তৈরি করেছি। পঞ্চায়েত এলাকায় এখনও পর্যন্ত ১২টি মাচা তৈরি করা হয়েছে। পরিকল্পনা রয়েছে আরও কিছু মাচা তৈরি করার।