এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

মোদি নয় টাকা দেবে, কিন্তু ইটের যোগান দেবে কে! চিন্তা নবান্নের

নিজস্ব প্রতিনিধি: চলতি বছরের একটা বড় সময় ধরে কেন্দ্র সরকার বাংলার(Bengal) জন্য বরাদ্দ হওয়া বেশ কিছু কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা আটকে রেখে দিয়েছিল। তার মধ্যে ছিল প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার(Pradhanmantri Awas Yojna) টাকাও। যদিও কিছুদিন আগে মোদি সরকার(Modi Government) ৮ হাজার ২০০ কোটি টাকা বাংলায় পাঠিয়েছে ১১ লক্ষ বাড়ি তৈরি করার জন্য। কিন্তু সেই টাকার সঙ্গে জুড়ে দিয়েছে বেশ কিছু শর্তও। যার মধ্যে অন্যতম হল ওই ১১ লক্ষ বাড়ি নির্মাণের কাজ শেষ করতে হবে আগামী ৩ মাসের মধ্যেই। তা না হলেই কেন্দ্রের পাঠানো টাকা ফেরত নিয়ে নেওয়া হবে। আর এখানেই বিপাকে পড়েছে নবান্ন(Nabanna)। কেননা ২৭০ বর্গফুট মাপের ১১ লক্ষ বাড়ি নির্মাণ করতে প্রয়োজন হবে খুব কম করেও ৮৮০ কোটি ইট(Brick)! এই কম সময়ে এত বিশাল সংখ্যার ইটের যোগান দেবে কে?

আরও পড়ুন সাকেত গ্রেফতারির পরেই বদলাচ্ছে তৃণমূলের নীতি

বাংলার বুকে প্রায় সাড়ে ৬ হাজার ইটভাটা আছে যার মধ্যে হাজার দুয়েক ইটভাটা কার্যত বেআইনি ভাবেই চলছে। সেই সব ইট ভাটায় সারা বছরে ৭২০ কোটি ইট উৎপাদিত হয়। সেই জায়গায় মাত্র ৩ মাসের মধ্যে ৮৮০ কোটি ইট কীভাবে পাওয়া যাবে তা নিয়েই এখন চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন রাজ্য সরকারের আধিকারিকেরা। যদিও তাঁরা বিষয়টি নিয়ে সময় নষ্ট করতে চান না। বরঞ্চ নাওয়াখাওয়া ভুলে কাজে নেমে পড়েছেন তাঁরা। কথা বলছেন একের পর এক ইট ভাটার মালিকের সঙ্গে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে ইট যোগানের পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াচ্ছে মোদি সরকারের অর্থনৈতিক নীতি। পাকাবাড়ি নির্মাণের প্রধান উপকরণ ইটের ওপর জিএসটি বৃদ্ধি করেছে মোদি সরকার। তারওপর ইটভাটায় প্রচুর কয়লা প্রয়োজন হয়। সেই কয়লারও আকাশছোঁয়া দাম। ফলে আবাস যোজনার জন্য রাজ্যে ইটের যে বাড়তি চাহিদা তৈরি হতে চলেছে, তা পূরণ করতে বাড়তি বিনিয়োগ কার্যত অসম্ভব বলেই দাবি অধিকাংশ ইটভাটা মালিকের। কিন্তু আবাস যোজনার কাজ নির্দিষ্ট সময়ে শেষ করতে গেলে ইটের উৎপাদন বাড়াতেই হবে।

আরও পড়ুন এমন উন্মাদনা দেখেনি আজমের, শহরে মমতা ম্যানিয়া

যা অবস্থা তাতে আগামী ৩ মাসের মধ্যে ১১ লক্ষ বাড়ি নির্মাণ করাই কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়তে চলেছে। যদিও ওই সব বাড়ি নির্মাণের জন্য রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতর ইতিমধ্যে ২২ হাজারের বেশি রাজমিস্ত্রিকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়েছে। ১১ লক্ষ বাড়ি তৈরিতে রাজমিস্ত্রির কাজের মাধ্যমে অন্তত ৬৬ লক্ষ শ্রমদিবস তৈরি হবে। তাই আরও বেশি সংখ্যক রাজমিস্ত্রিকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার উদ্যোগও নিচ্ছে সরকার। কিন্তু ইটই যদি না পাওয়া যায় তাহলে এই প্রশিক্ষণও তো মাটিতে মারা যাবে। তবে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রয়োজনে ওড়িষ্যা, ঝাড়খণ্ড, বিহার ও উত্তরপ্রদেশ থেকে ইট কিনে নিয়ে আসা হবে। কিন্তু ৩ মাসের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ১১ লক্ষ বাড়ি নির্মাণ করার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা হবে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

‘যত ভোট তত গাছ’, মনোনয়ন দিয়ে ঘাটালবাসীদের প্রতিশ্রুতি দেবের

২০২৫ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষা কবে ? জানিয়ে দিল পর্ষদ

মাধ্যমিক পরীক্ষায় অকৃতকার্য দেড় লক্ষ পড়ুয়া! চিন্তায় শিক্ষাবিদরা

সফল মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের ট্যুইট শুভেচ্ছা মুখ্যমন্ত্রীর

ডাক্তারি পড়তে আগ্রহী মাধ্যমিকের প্রথম দশে থাকা দুই পড়ুয়া

‘একেবারে মেরিট লিস্টে নাম আসবে ভাবেনি’, ভবিষ্যতে কি হতে চায় মাধ্যমিকের দ্বিতীয় সাম্যপ্রিয়?

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর