এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

সুন্দরবন রক্ষায় ৯ সদস্যের নজরদারি কমিটি, পরিবেশ আদালতের

নিজস্ব প্রতিনিধি: কড়া নজরদারি আওতায় চলে এল সুন্দরবন(Sundarban)। পরিবেশের(Environment) ক্ষতি করে সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায় নদীর তীরে বেআইনি নির্মাণ চলছে বলে বার বার অভিযোগ উঠছিল। নদী-খাঁড়িতে মোটর চালিত জলযানের যথেচ্ছ ব্যবহার এবং অপরিকল্পিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কারণেও দিনের পর দিন ক্ষতি হচ্ছিল বাদাবনের, সেটাও অস্বীকার করা যাচ্ছিল না। এই নিয়ে বার বার সরব হয়েছেন পরিবেশবিদরা। এমনকি সেই সব বিষয় নিয়ে একের পর এক মামলাও হয়েছে আদালতে। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় পরিবেশ আদালত(National Green Tribunal) একটি নির্দেশিকায় জানিয়েছিল, সুন্দরবনের পরিবেশ, পাখি, বন্যপ্রাণ ও বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীদের ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে বিশেষ উপকূল আইন মেনে চলতে হবে। কিন্তু নির্দেশ মানা হচ্ছিল না। তার জেরেই জাতীয় পরিবেশ আদালতে মামলা করেছিলেন পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত(Subhash Dutta)। ওই মামলার জেরেই এবার পরিবেশ আদালত সুন্দরবন রক্ষায় ৯ সদস্যের নজরদারি কমিটি গড়ে দিল।

আরও পড়ুন পাহাড়ে Masterstroke মমতার, পাট্টা পাবেন বাসিন্দারা

২০২০ সালে জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশে সাফ জানানো হয়েছিল কোনও ভাবেই সুন্দরবনের সিআরজেড-১ এলাকায় নির্মাণ করা যাবে না। নির্দিষ্ট উপকূল রক্ষার পরিকল্পনা করে বেআইনি হোটেল, রিসর্ট নির্মাণ বন্ধ করতে হবে। পাশাপাশি, সুন্দরবনের বাঘ ও ম্যানগ্রোভ রক্ষার জন্য বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। কিন্তু সেই নির্দেশিকা মানা হচ্ছে না দেখে ২০২১ সালের জুন মাসে আরও একটি নির্দেশিকা জারি করে জাতীয় পরিবেশ আদালত। সেই নির্দেশিকায় আদালত বলেছিল, নির্দিষ্ট উপকূল পরিকাঠামো পরিকল্পনা (ইন্ট্রিগেটেড কোস্টাল জ়োন ম্যানেজমেন্ট প্রজেক্ট) গ্রহণ করতে হবে। যার মধ্যে দিয়ে এই উপকূলীয় এলাকায় অবৈধ নির্মাণ, ম্যানগ্রোভ নিধনের বিষয়গুলিকে প্রতিহত করা সম্ভব হবে। কিন্তু সেই নির্দেশিকাও মানা হচ্ছিল না। তার জেরে সুভাষবাবু পরিবেশ আদালতে ফের মামলা ঠোকেন। সেই মামলাতেই আদালত ৯ সদস্যের কমিটি গড়ে দিয়েছে সুন্দরবনের বুকে নজরদারি চালাবার জন্য। সেই সঙ্গে বলে দিয়েছে, রাজ্যের মুখ্যসচিবের নেতৃত্বাধীন এই কমিটিতে থাকবেন উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক, রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চেয়ারম্যান-সহ মোট ৯জন। প্রতি মাসে কমিটিকে অন্তত একটি বৈঠক করতে হবে। সেই বৈঠকের রিপোর্ট আদালতকে জানাতে হবে। সেই সঙ্গে রাজ্য পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের ওয়েবসাইটেও আপলোড করতে হবে রিপোর্ট।

আরও পড়ুন বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে পরিচারিকার সঙ্গে সহবাস, গ্রেফতার CPIM নেতা

একইসঙ্গে আদালত জানিয়েছে, চলতি বছরের মার্চ মাসের মধ্যে সুন্দরবনের উপকূল পরিকাঠামো পরিকল্পনা তৈরি করে দিতে হবে রাজ্য সরকারকে। ওই পরিকল্পনা তৈরি করে তা কেন্দ্রের কাছে জমা দিতে বলা হয়েছে। কেন্দ্রকেও এ বিষয়ে দু’মাসের মধ্যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে রাজ্যকে জানাতে বলা হয়েছে। আদালতের এই রায় প্রসঙ্গে পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত জানিয়েছেন, ‘দিনের পর দিন সুন্দরবন ধ্বংস হচ্ছে। এ বিষয়ে রাজ্য সরকারের কোনও হেলদোল নেই। উল্টে সুন্দরবনের নদী তীরবর্তী এলাকায় গড়ে উঠছে বেআইনি হোটেল, রিসর্ট। সেগুলিকে বৈধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে নির্লজ্জ ভাবে। লাগাতার ধ্বংস হচ্ছে ম্যানগ্রোভ। বেআইনি ভাবে চলছে জলযান। এ রকম চলতে থাকলে অচিরেই ধ্বংস হয়ে যাবে সুন্দরবন। আর সুন্দরবন ধ্বংস হলে কলকাতার অস্তিত্বও সঙ্কটে পড়বে। পরিবেশ আদালত সঠিক পদক্ষেপ নিয়েছে। এই রায়ের পরে রাজ্য প্রশাসন আর বিষয়টি নিয়েচ অবহেলা করতে পারবে না।’

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

তিন তোলাবাজ যুবককে গ্রেফতারের দাবিতে শান্তিপুর থানা ঘেরাও করে ডেপুটেশন দিলেন আমজনতা

জনজাতি সম্প্রদায়কে নিয়ে মায়াপুর ইসকনের তিনদিন ব্যাপী কনভেনশন

নিউটাউনে উদ্ধার হওয়া ক্ষতবিক্ষত যুবক করুণাময়ীর এইচএসবিসি ব্যাংকের কর্মী

মালদার চাঁচলে মিঠুনের রোড শোতে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান তৃণমূলের

তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্রের সমর্থনে গঙ্গারামপুরে দেবের রোড শোতে জনসুনামি

‘বিজেপির ১০ জন নেতা যোগাযোগ রাখছেন’, বোমা ফাটালেন অভিষেক

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর