নিজস্ব প্রতিনিধি: জেলা পরিষদে(Zilla Parishad) সভাধিপতি পদে কেউ না থাকায় মোটা অঙ্কের অর্থ খরচ করতে পারেনি জেলা পরিষদ। গত বছর ও এবারের অর্থ মিলিয়ে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের(15th Finance Commission) প্রায় ৩৯৩ কোটি টাকা পড়ে আছে উন্নয়ন তহবিলে। এই ছবিটা মুর্শিদাবাদ(Murshidabad) জেলার। তবে এবার সেই টাকা খরচ করা হচ্ছে। জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েত তিনটি স্তরেই এবার বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ করে উন্নয়নের কাজ করা হচ্ছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে যতটা দ্রুত কাজ শুরু করা যায়, সেই চেষ্টা চলছে। দীর্ঘ প্রায় দশ মাস ফাঁকা ছিল মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতির আসন। প্রাক্তন সভাধিপতি মোশারফ হোসেন ওরফে মধুর পদত্যাগের পর চেয়ার ফাঁকা হয়ে যায়। থমকে যায় বোর্ডের কাজ। ফেব্রুয়ারি মাসে সভাধিপতি পদে বসানো হয় সামসুজ্জোহা বিশ্বাসকে(Samsujjoha Bishwash)। নতুন সভাধিপতি আসার পর কাজ শুরু হয়। তবে দীর্ঘ সময় জেলা পরিষদে কোনও কাজ না হওয়ায় বিপুল অর্থ পড়ে থাকে। চলতি বছরে সেই অর্থ খরচের জন্য উঠে পড়ে লেগেছে জেলা প্রশাসন।
আরও পড়ুন পঞ্চায়েতের প্রার্থী বাছাই শুরু তৃণমূলের, বদলাচ্ছে পুরাতন পদ্ধতি
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর ও এবারের অর্থ মিলিয়ে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের প্রায় ৩৯৩ কোটি টাকা পড়ে আছে উন্নয়ন তহবিলে। জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েত তিনটি স্তরেই এবার বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ করে উন্নয়নের কাজ করা হচ্ছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে যতটা দ্রুত কাজ শুরু করা যায়, সেই চেষ্টা চলছে। এই বিষয়ে জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র জানিয়েছেন, ‘বিগত অর্থবর্ষে খরচ কম হয়েছে। সেই অর্থ বাকি রয়ে গিয়েছে। চলতি অর্থবর্ষে কয়েক মাসে প্রায় ১৪ শতাংশ অর্থ খরচ হয়েছে। আমরা ভালো কাজ করছি। দীর্ঘ সময় জেলা পরিষদের সভাধিপতি পদটি ফাঁকা থাকার জন্য পুরনো বছরের খরচ কিছুটা কম হয়েছে। আমরা সেই অর্থ খরচ করে নিতে পারব। ওয়ার্ক অর্ডার সমস্ত ইস্যু হয়ে গিয়েছে। তবে, গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির খরচ ঠিকঠাক আছে। চেষ্টা করছি, জেলা পরিষদের অর্থও এবার ঠিকঠাক খরচ করতে পারব।’ জেলা পরিষদের নয়া সভাধিপতি সামসুজ্জোহা বিশ্বাসও জানিয়েছেন, ‘টেন্ডার করে নির্দিষ্ট প্রসিডিওর করে টাকা খরচ করতে সময় লাগে। চলতি বছরে কাজ ভালোই হচ্ছে। আমরা সব টাকা খরচ করে দিতে পারব।’