এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

এবার গন্ধবণিকেরাও ওবিসি’র মর্যাদা চাইছেন, হচ্ছে রাষ্ট্রীয় সম্মেলনও

নিজস্ব প্রতিনিধি: রাঢ় বাংলার নানা উপাখ্যানে গন্ধবণিকদের(Gandha Banik) কথা পাওয়া যায়। এদের আরাধ্য দেবী হলেন মা দুর্গারই অপর রূপ দেবী গন্ধেশ্বরী(Devi Gandheswari)। একসময় আতর সহ নানা সুগন্ধী দ্রব্যের ব্যবসা করতেন এদের পূর্বসুরীরা। তাদের হাত ধরেই ভারতে তৈরি হওয়া সুগন্ধী ছড়িয়ে পড়ত জাভা, সুমাত্রা, মিশর, ব্যাবিলন, চিন, মিশর, রোম ও গ্রীসের মতো সভ্যতায়। মধ্য যুগে এরা সুগন্ধী দ্রব্যের পাশাপাশি অনান্য দ্রব্যের ব্যবসাও শুরু করেন। ক্রমে তাঁদের উত্তরসুরীরা সমুদ্রপথে ব্যবসা করার চেয়ে বাড়িতে থেকে ব্যবসা করার দিকে জোর দেন। কার্যত সেই সময় থেকেই রাঢ় বাংলার বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, দুই বর্ধমান ও বীরভূম জেলায় গন্ধবণিকেরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে পাকাপাকি ভাবে বসবাস শুরু করেন। সেই গন্ধবণিক সম্প্রদায়ের মানুষেরাই এবার ওবিসি(OBC) বা অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির তালিকাভুক্তির দাবিতে আন্দোলন শুরু করতে চলেছেন। আগামী ১ জানুয়ারি তাঁরা আবার ঝাড়গ্রাম জেলার বেলপাহাড়িতে এক রাষ্ট্রীয় সম্মেলনেরও(National Conference) আয়োজন করছেন।

আরও পড়ুন মাথার ওপর খড়ের চাল, তবুও আবাস যোজনায় নাম বাদ

ভারতীয় গন্ধবণিক সমাজকল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক বাপ্পাকুমার দাস জানাচ্ছেন, বৈশ্য সম্প্রদায়ভুক্ত গন্ধবণিকরা এ রাজ্যে সংরক্ষণের আওতায় নেই। তবে ঝাড়খণ্ড, বিহার ও ওড়িশায় গন্ধবণিকদের অধিকাংশ ওবিসি (আদার ব্যাকওয়ার্ড ক্লাস) তালিকাভুক্ত। তবে অসম ও মণিপুরে গন্ধবণিকরা তফসিলি জাতিভুক্ত (এসসি)। পশ্চিমবঙ্গের গন্ধবণিকরা সংরক্ষণের সুযোগসুবিধা থেকে বঞ্চিত। সারা দেশে ৪০ লক্ষেরও বেশি গন্ধবণিক রয়েছেন। ১৯৮৫ সালের মণ্ডল কমিশনে বৈশ্য সম্প্রদায়ের ‘সাব কাস্ট’ গন্ধবণিকদের ওবিসি তালিকাভুক্ত করা করা হয়েছিল। গত এক বছরে রাজ্য ও ভিন্ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় গন্ধবণিকদের সংগঠিত করে সভা হয়েছে। এ বার চার দফা দাবিকে সামনে রেখে সম্মেলনের ডাক দেওয়া হয়েছে। সম্মেলনের দিন এ রাজ্যের বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি, দিল্লি, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, মহারাষ্ট্র, কর্নাটকের মত বিভিন্ন এলাকা থেকে গন্ধবণিক সম্প্রদায়ের দু’শো প্রতিনিধি বেলপাহাড়ির ওড়গোন্দায় যোগ দেবেন। সেখানেই তুলে ধরা হবে তাঁদের দাবি সনদ যার নাম তাঁরা দিয়েছেন ‘মিশন সওদাগর’।

আরও পড়ুন বিশ্বাসযোগ্যহীন নেতা বিপ্লব কেন বিজেপিতে, প্রশ্ন বিজেপির অন্দরে

কী এই ‘মিশন সওদাগর’? এই বিষয়ে বাপ্পাবাবুর দাবি, মনসামঙ্গলের মূল চরিত্র চন্দ্রধর বণিক, যিনি ‘চাঁদ সওদাগর’ নামেই বেশি পরিচিত। তিনিই তাঁদের আরাধ্য আদিপুরুষ। চাঁদের হাত ধরেই বঙ্গদেশে মনসা পুজোর প্রচলন এবং গন্ধবণিক জাতির উৎপত্তি। গন্ধবণিকদের আরাধ্য দেবী গন্ধেশ্বরী হলেও তাঁরা দেবী মনসা, ভগবান শিব ও চাঁদ সওদাগরের পুজোও করেন। ১ জানুয়ারি যে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে সেখানে তাঁরা ৪ দফা দাবির একটি সনদ সর্বসন্মতি ক্রমে ‘মিশন সওদাগর’ হিসাবে তুলে ধরবেন। ওই দাবি সনদে থাকবে গন্ধবণিকদের ওবিসি তালিকাভুক্তি করতে হবে, পশ্চিম বর্ধমানে চাঁদ সওদাগরের বাসস্থানে তাঁর নামাঙ্কিত চাঁদ সওদাগর বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন ও চাঁদ সওদাগরের মূর্তি প্রতিষ্ঠা, নির্বাচনে গন্ধবণিকদের জন্য আসন সংরক্ষণ এবং গন্ধবণিকদের সরকারিভাবে বাণিজ্যিক সুযোগসুবিধা প্রদান। সম্মেলনের পর ‘মিশন সওদাগর’এর চার দফা দাবি নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) কাছে আবেদন জানাবেন তাঁরা।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

বুধবার শ্রীরামপুরে প্রচারে মুখোমুখি কল্যাণ- দীপ্সিতা, উঠলো স্লোগান, গাইলেন রবীন্দ্র সংগীত

রাণাঘাটের তৃণমূল প্রার্থী মুকুটমণি অধিকারীর হয়ে প্রচারে দেব

বাংলায় ইন্ডিয়া জোট না হওয়ার দায় অধীরের ঘাড়ে চাপালেন অভিষেক

মোবাইল চুরি চক্রের পর্দা ফাঁস নিউ ব্যারাকপুর থানার

কেন লকেটের বিরুদ্ধে ‘অনভিজ্ঞ’ রচনা, খোলসা করলেন মমতা

বঙ্গে রবিবার পর্যন্ত চলবে ঝড়-বৃষ্টি, আগামী সপ্তাহে ফের বাড়তে পারে তাপমাত্রা

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর