নিজস্ব প্রতিনিধি: বীরভূমের (Birbhum) তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) প্রাক্তন জেলা সহ-সভাপতি বিপ্লব ওঝা (Biplab Ojha) সকালেই দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছেন। মঙ্গলবারই তৃণমূল কংগ্রেসের সমস্ত পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন বীরভূমের এই নেতা। তৃণমূল থেকে সরে যাওয়ার পর জল্পনা তৈরি হয়েছিল বিজেপিতে তাঁর যোগদান নিয়ে। অবশেষে সেই জল্পনা সত্যি করে এদিন বিকেলে বীরভূমের নলহাটিতে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সভায় বিজেপিতে যোগ দেন আনুষ্ঠানিকভাবে। আর বিপ্লব বিজেপিতে যোগদানের পরেই গেরুয়া শিবিরের অন্দরে শুরু হয়েছে শোরগোল। কী করে একজন ‘বিশ্বাসযোগ্যহীন’ নেতাকে বিজেপিতে নেওয়া হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিজেপি কর্মীরা।
একদা বাম দল ফরওয়ার্ড ব্লকের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বিপ্লব ওঝা। পরে কংগ্রেসের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। একদা বীরভূম জেলা কংগ্রেসের রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লক সভাপতি ছিলেন তিনি। এরপর ২০০৭ সালে নলহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন বিপ্লব। তার দু বছর পর ২০০৯ সালে বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের হয়ে শতাব্দী রায় নির্বাচনে দাঁড়িয়ে সাংসদ নির্বাচিত হন।
২০০৯ সালেই সমস্ত কাউন্সিলর নিয়ে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল যোগদান করেন তিনি। আর বারে বারে পোশাক বদলানোর মত রাজনৈতিক দল পালটানো বিপ্লবকে নিয়ে তাই গেরুয়া শিবিরের অন্দরে উঠছে প্রশ্ন। বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ, বীরভূমের যে নেতার বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ রয়েছে ভুরি ভুরি, সেই বিপ্লব বিজেপির কতটা ভাল করতে পারবে? তাই রাজ্যের বিরোধী দলনেতার সভায় বিজেপিতে যোগ দিলেও বীরভূমের বিপ্লবকে নিয়ে মোটেও সন্তুষ্ট নন নীচু তলার বিজেপি কর্মীরা।