নিজস্ব প্রতিনিধি: বিয়ে করেছিলেন বছর তিনেক আগে। বছর দেড়েকের ফুটফুটে সন্তানকে ঘরে রেখে মন ছিল না বাইরে যাওয়ার। ছোট্ট একটি টিন ও অ্যাডবেস্টারের ঘরে তাঁর সঙ্গে থাকতেন বাবা, মা, ভাই, স্ত্রী, সন্তান। ইচ্ছে ছিল নিজেদের একটা পাকা বাড়ি হবে। সেই স্বপ্ন পূরণ করতেই পরিযায়ী শ্রমিক হয়েছিলেন ডেভিড। চেপেছিলেন করমণ্ডলে। স্বপ্ন রয়ে গেল অধরাই। বাড়ি ফিরল ডেভিডের নিথর দেহ।
বাড়তি উপার্জন করতে পরিযায়ী শ্রমিক হয়েছিলেন তিনি। তবে গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই দুর্ঘটনা। চেন্নাই গিয়ে কর্মস্থলে যোগ দেওয়া হলো না তাঁর। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাঁতন-২ ব্লকের বাসিন্দা ছিলেন ডেভিড রাণা (২৬)। আগে তিনি কাজ করতেন দিঘা এবং সংলগ্ন অঞ্চলে। আর্থিক উপার্জন বাড়াতে কলকাতাতেও কাজ করেছেন তিনি। ইচ্ছে ছিল, নিজেদের একটা পাকা বাড়ি করার। তাই আরও একটু বেশি উপার্জন করতে বেশ কয়েকমাস আগে তিনি গিয়েছিলেন চেন্নাই। ছুটি পেয়ে ফিরে এসেছিলেন বাড়ি। ফের কাজে যোগ দিতে করমণ্ডলে (COROMONDEL EXPRESS) চেপে চেন্নাই পাড়ি দিয়েছিলেন তিনি।
তবে চেন্নাই যাওয়া আর হলো না। গত শুক্রবার ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার পরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি। বাড়ি ফিরল তাঁর নিথর দেহ। টিনের বাড়ি জুড়ে এখন কান্নার রোল। এলাকা জুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।