নিজস্ব প্রতিনিধি: সরকারি চাকরি পেলে স্ত্রী হাতছাড়া হয়ে যাবে! এই সন্দেহ থেকেই স্বামী কেটে ফেলেছিল নার্স (NURSE) স্ত্রীর হাত। এরপর থেকেই পলাতক ছিল স্বামী মহম্মদ শেখ ওরফে শরিফুল। পালাতে চেয়েছিল মুর্শিদাবাদ। অবশেষে গ্রেফতার (ARREST) হল অভিযুক্ত স্বামী। মঙ্গলবার সকালেই গ্রেফতার করা হয়েছিল অভিযুক্তের বাবা ও মাকে। ওইদিন রাতেই পুলিশের জালে ধরা পড়ে নির্যাতিতার স্বামী।
নির্যাতিতার নাম রেণু খাতুন। কেতুগ্রামের চিনিসপুরে তাঁর বাপের বাড়ি। শ্বশুরবাড়ি কোজলসা গ্রামে। ২০১৭ সালে বিয়ে হয়েছিল তাঁদের। নার্সিং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত রেণু কর্মরত ছিলেন একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে। দীর্ঘ বছর চেষ্টা করেছিলেন সরকারি হাসপাতালে (HOSPITAL) চাকরির। কিছুদিন আগেই সরকারি হাসপাতালে চাকরির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন তিনি। আর তারপরেই স্বামীর মনে সন্দেহ হয়, সরকারি চাকরি পেলে স্ত্রী তাকে ছেড়ে দেবে বলে।
সন্দেহ থেকেই স্ত্রীর ডান হাত কেটে ফেলে অভিযুক্ত। মঙ্গলবার সকালেই অভিযুক্তের বাবা ও মাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযুক্ত মুর্শিদাবাদ পালানোর ছক কষেছিল। পুলিশের জালে অবশেষে ওই দিন রাতেই কেতুগ্রাম- মুর্শিদাবাদ সীমান্ত থেকে ধরা পড়ে শরিফুল। ধৃতের পরিকল্পণা ছিল মুর্শিদাবাদ গিয়ে আত্মগোপন করবে সে। স্ত্রীর ওপরে চড়াও হতে ২ দুষ্কৃতীতে সুপারি দিয়েছিল শরিফুলই।
উল্লেখ্য, আক্রান্ত হওয়ার পর রেণু হাতের কব্জিও হারালেও চাকরির সিদ্ধান্তে অনড়। কাজ করছেন এক হাতেই। রেণুকে কুর্নিশ জানিয়েছেন সকলেই। পুলিশ (POLICE) সূত্রে খবর, অভিযুক্ত ও তাঁর বাবা- মাকে জেরা করা হচ্ছে। এই ঘটনায় আরও কে বা কারা জড়িত তা জানতে চাওয়া হচ্ছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে কেন এই আক্রমণ, স্ত্রীর চাকরি হওয়ার জন্যই না কি এর পেছনে আরও অন্য কারণ রয়েছে। জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা ও তাঁর স্বামীর বিয়ে হয়েছিল প্রেমের সম্পর্ক থেকেই।