নিজস্ব প্রতিনিধি, হুগলি: বালির নিশ্চিন্দা থানার এলাকার দুই গৃহবধূ এক সাত বছরের শিশু-সহ রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন। গত সপ্তাহের বুধবার দুপুরে নিশ্চিন্দার আনন্দনগরের বাড়ি থেকে কর্মকার বাড়ির দুই গৃহবধূ অনন্যা ও রিয়া কর্মকার শপিং করতে বের হয়েছিলেন। সঙ্গে ছিলেন সাত বছরের ছেলেও। কিন্তু এরপর থেকেই আর তিনজনের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। ঘটনার তদন্তে নামে শ্রীরামপুর থানার পুলিশ। ঘটনার পাঁচ দিনের মাথায় জানা গেল ওই দুই গৃহবধূ পরিচিত দুই রাজমিস্ত্রির সঙ্গে মুম্বই পালিয়েছেন। সঙ্গে নিয়ে গিয়েছেন সাত বছরের সন্তানকেও। তবে কাউকেই ধরতে পারেনি পুলিশ। মুম্বইয়ে তাঁদের অবস্থান জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।
পুলিশ সূত্রে খবর, দুই গৃহবধূর শেষ লোকেশন ছিল শ্রীরামপুরেই। কিন্তু এরপর থেকেই তাঁদের মোবাইল বন্ধ হয়ে যায়। সিসিটিভি ফুটেজ থেকেও সেরকম কোনও সূত্র পাওয়া যায়নি। এরপরই তদন্তকারীরা দুই বধূর কললিস্ট খতিয়ে দেখা শুরু করেন। তাতেই এল সাফল্য। পুলিশ জানতে পারে নিখোঁজ হওয়ার দিন কর্মকার বাড়ির বড়বউ অনন্যার মোবাইলে একটি অচেনা নম্বর থেকে বেশ কয়েকবার ফোন আসে। সেই নম্বরের সূত্র ধরেই পুলিশ খোঁজ পায় এক রাজমিস্ত্রি সুভাষের। তাঁর বাড়ি মুর্শিদাবাদে।
এরপর রবিবার মুর্শিদাবাদের সুতি এলাকায় সুভাষের বাড়িতে অভিযান চালায় নিশ্চিন্দা থানার পুলিশ। সেখানে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে, নিখোঁজ দুই গৃহবধূ মুর্শিদাবাদে তাঁদের বাড়ি এসেছিলেন। কিন্তু এক দিন পরেই তাঁরা সকলে মুম্বই চলে গিয়েছেন। পুলিশ জানতে পেরেছে সুভাষ ও শেখর নামে দুই রাজমিস্ত্রি মাস ছয়েক আগে নিশ্চিন্দায় কর্মকার বাড়িতে কাজে এসেছিলেন। সেসময় থেকেই দুজনের সঙ্গে ঘনিষ্ট সম্পর্ক তৈরি হয় দুই গৃহবধূর। ফলে তাঁরা প্ল্যান করেই পালিয়েছেন বলে অনুমান পুলিশের। আপাতত মুম্বইয়ে সকলের অবস্থান চিহ্নিত করার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।