নিজস্ব প্রতিনিধি: গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে দেশের নানান শহর নানান সময়ে কেঁপে উঠেছে। সেই সব বিস্ফোরণের পিছনে পাকিস্তানের গোয়েন্দা বাহিনীর হাত থাকার প্রমাণ যেমন দেশের গোয়েন্দারা পেয়েছেন তেমনি দাউদের মতো মাফিয়া যোগও মিলেছে। এবার গাড়ি বিস্ফোরণের ঘটনা না ঘটলেও বাইক বোমা(Bike Bomb) বিস্ফোরণে কেষ্টগড় বীরভূমের(Birbhum) মাটি কেঁপে উঠতে দেখা গেল। আরও আশ্চর্যের বিষয় সেই বাইক বোমার শিকার হলেন বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসেরই(TMC) এক নেতা। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে ওই নেতাকে খুন করার লক্ষ্যেই এই বাইক বোমা ব্যবহার করেছিল কেউ বা কারা। বোমা বিস্ফোরণে আহত ওই নেতা এখন ভর্তি রয়েছে বোলপুরের হাসপাতালে।
রবিবার সন্ধ্যায় বোলপুর(Bolpur) শহরের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের খাসপাড়া এলাকায় এই বাইক বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তার জেরে লক্ষ্মী সাহানি নামে তৃণমূলের এক নেতা গুরুতর ভাবে জখম হন। বিস্ফোরণের জেরে তাঁর ডান পা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ(Police) দেখতে পেয়েছে কেউ বা কারা লক্ষ্মীবাবুর বাইকেই বিস্ফোরক বেঁধে রেখেছিল। তার লাগিয়ে দূর থেকে এই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে বলে পুলিশিউ তদন্তে প্রমাণ মিলেছে। আর এখানেই কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে পুলিশ কর্তাদের। কেননা এই ধরনের বিস্ফোরণের পদ্ধতি বাংলার বুকে একদম নতুন। বাংলার বুকে এর আগে গাড়ি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু এখন পুলিশ কর্তাদের চিন্তা এটাই যে এইভাবে জনবহুল স্থানে খুব সহজেই বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে জঙ্গিরাও। আর তার জেরে অনেকেই যে হতাহত হবেন সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। পুলিশ এখন এটাই খতিয়ে দেখছে যে কে বা কারা লক্ষ্মীবাবুকে খুনের চেষ্টা করেছিল এই বাইক বোমার মাধ্যমে এবং এই ধরনের বিস্ফোরণের পদ্ধতি তাঁরা শিখল কোথা থেকে।
সূত্রে জানা গিয়েছে, পুলিশের কিছু আধিকারিক এই ঘটনায় বাংলাদেশের একটি নিষিদ্ধ জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্যদের যোগাযোগ থাকতে পারে বলে মনে করছেন। কেননা আগেই জানা গিয়েছে, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া ও পূর্ব বর্ধমান জেলায় বেশ কিছু জঙ্গি নাকি গা ঢাকা দিয়ে লুকিয়ে রয়েছে। এরা সকলেই পাকিস্তানে প্রশিক্ষণ পেয়ে বাংলাদেশ হয়ে এ রাজ্যে ঢুকেছে। এদের এদেশে পাঠানোই হয়েছে হামলা চালানোর জন্য। এখন পুলিশ কর্তাদের এটাই চিন্তা যে যদি সেই সব জঙ্গির সঙ্গে বোলপুরের বিস্ফোরণের যোগ মেলে তাহলে আগামীদিনে বাংলায় ঠিক কত বড় বিপদ আছড়ে পড়তে চলেছে।