নিজস্ব প্রতিনিধি: কলকাতা হাইকোর্টের(Calcutta High Court) নির্দেশ ছিল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে(Viswabharati University) যে পড়ুয়া বিক্ষোভ চলছে তাতে আদালত কোনও হস্তক্ষেপ করবে না। কিন্তু পড়ুয়ারাও বিশ্বভারতীর কোনও আধিকারিককে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যালয়ে আসতে বা স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে কোনওরকম বাধা দিতে পারবে না। সেই সঙ্গে ১০ দিনের মধ্যে আদালতকে জানাতে হবে বিক্ষোভকারীদের যাবতীয় দাবিদাওয়া। আদালতের সেই নির্দেশের পরে মনে করা হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল অফিসে ঘেরাও হয়ে থাকা রেজিস্ট্রার-সহ অন্যান্য আধিকারিক ও কর্মীরা ঘেরাও মুক্ত হবেন। কিন্ত তা না হওয়ায় বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্বভারতীর ক্যাম্পাসে পা রাখে পুলিশ। তাঁরাই রেজিস্ট্রার-সহ অন্যান্য আধিকারিক ও কর্মীদের ঘেরাও মুক্ত করেন। প্রায় ৮৪ ঘন্টা বাদে তাঁরা ঘেরাও মুক্ত হন। তার জেরে পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখায় পড়ুয়ারা। সেই ঘটনা ঘিরে যাতে আর নতুন করে বিশ্বভারতীর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে না ওঠে তার জন্য শুক্রবার সকালে বিশ্বভারতীর সেন্ট্রাল অফিসের সামনে শান্তিনিকেতন(Shantiniketan) থানার তরফে এক জন ইন্সপেক্টর-সহ ৯জন পুলিশকে(Police) মোতায়েন করা হয়েছে। তা নিয়েও অবশ্য আপত্তি জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশ মোতায়েন হওয়া নিয়ে এদিন ক্ষোভ জানিয়েছে বিক্ষোভকারী পড়ুয়ারা। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে পুলিশ সরাতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস থেকে। সেই সঙ্গে তাঁদের বক্তব্য, তাঁরা আদালতের নির্দেশ মেনেই চলছেন। শান্তিপূর্ণ ভাবে আন্দোলন করছেন। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল অফিসের গেটে তালা ঝুলিয়ে আদালতের নির্দেশ অমান্য করছেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। যত ক্ষণ না তাঁদের দাবি মেনে নেওয়া হচ্ছে, তত ক্ষণ এই বিক্ষোভ(Student Agitation) চলবে। এদিন দেখা যায় পাঠভবনে ক্লাস শুরু হলেও অধিকাংশ ভবন এখনও পর্যন্ত তালা বন্ধ অবস্থায় রয়েছে। ফলে কার্যালয়ে ঢুকতে পারছেন না বিশ্বভারতীর কর্মী ও আধিকারিকরা। সেই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল অফিসের সামনে জমায়েত করে রয়েছেন আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা। ফলে বিশ্বভারতীর অচলাবস্থা এখন যে পুরোপুরি কেটে গিয়েছে সেকথা কিন্তু একদমই বলা যায় না।