নিজস্ব প্রতিনিধি: হাইকোর্ট অনুমতি দিয়েছিল বিজেপিকে (BJP) সভা করার। তবুও ২১ জুলাই (21 JULY) সভা বাতিল করল বিজেপি। বুধবার সন্ধ্যায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা সাংবাদিক বৈঠক করে যা বললেন, তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই। একাংশের মতে, আদালত অবমাননা করেছেন তিনি। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে গুঞ্জন।
উল্লেখ্য, ২১ জুলাই উলুবেড়িয়ায় সভা করতে চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল বঙ্গ বিজেপি। গতকাল এই মামলার শুনানি হয়েছিল ২ দফায়। তারপর শুনানি হয়েছিল আজ, বুধবারেও। গতকাল বিজেপির উদ্দেশ্যে আদালতের প্রশ্ন ছিল, কেন ২১ জুলাই দিনটিতেই সভা করতে হবে? অন্য দিন নয় কেন? তারপরে আজ আদালত শর্ত সাপেক্ষে বিজেপিকে সভা করার অনুমতি দিয়েছিল। আদালতের নির্দেশের পর এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, আদালতের রায় মেনে যেন সভা করে বিজেপি। তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেছিলেন, আদালতের রায় শিরোধার্য কিন্তু বিজেপি রাজনৈতিক দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই সভা করতে চাইছে এই দিন। চেষ্টা চলছে পায়ে পা লাগিয়ে ঝগড়া করার।
আর এই দিন সন্ধ্যাতেই সাংবাদিক বৈঠক করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। জানিয়ে দেন সভা হবে না বিজেপির। উল্লেখ্য, আদালতের নির্দেশ ছিল যেন বিজেপির সভা থেকে প্ররোচনামূলক বক্তব্য পেশ করা না হয়। শর্ত ছিল, ২০ টির বেশি লাউড স্পিকার ব্যবহার করা যাবে না। অনুমতি দেওয়া হয়েছিল রাত ৮ টায় সভা করার জন্য।
এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, বিচারপতির প্রতি তিনি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলছেন বিজেপি- গণতন্ত্র ও আইনকে অস্বীকার না করতে পেরে বিচারপতি সভা করার অনুমতি দিয়েছেন। তবে যাতে সভা না করা যায় তার জন্য বেশ কয়েকটি শর্ত দিয়েছেন। বলেন, ‘হ্যাঁ কথা লিখে সভা যাতে না করা যায় তেমন শর্ত দিয়েছেন।’ বলেন, রাজ্যের চাপেই এই অবস্থা। বিচারপতি বাধ্য হয়েছেন এমন নির্দেশ দিতে।
তাঁর এই বক্তব্যের পরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। একাংশের মতে, এমন মন্তব্য করে আদালত অবমাননা করেছেন শুভেন্দু। ২১ জুলাই বিজেপি তাদের সভা বাতিল করেছে বলেও ঘোষণা করেন শিশির অধিকারীর পুত্র।