এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

কেন্দ্র সরকারের সমালোচনায় সরব প্রধানমন্ত্রীর ভাই প্রহ্লাদ মোদি

নিজস্ব প্রতিনিধি: ঘর শত্রু বিভীষণ নাকি ঘরের অন্দরেই অন্তর্দ্বন্দ্ব! খোদ প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যেই সরব হলেন কিনা তাঁরই ভাই। মুহুর্তের মধ্যে সেই ভিডিও ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর সেই ঘটনার জেরে তীব্র অস্বস্তিতে কেন্দ্র সরকার এবং কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি। অস্বস্তিতে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি(Narendra Modi)ও। কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রকের আয়োজনে ‘ট্রান্সফরমেশন অফ ফেয়ার প্রাইস শপস’(Transformation of Fair Price Shop) নামে জাতীয় সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল রেশন দোকানদের সংগঠন অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার্স ফেডারেশনকে(AIFPSDF)। সেখানেই প্রধান বক্তা কেন্দ্রীয় খাদ্যসচিব সঞ্জীব চোপড়ার সামনে কেন্দ্রের রেশন নীতি নিয়ে সরব হম প্রধানমন্ত্রীর ভাই প্রহ্লাদ মোদি(Prahlad Modi)। একই সঙ্গে ওই জায়গাতেই রেশন দোকানদারদের পাশে থাকতে বাংলা(Bengal) যে কতটা এগিয়ে, তাও সামনে এসেছে।

আরও পড়ুন EPF Pension বাড়েনি নির্মলার বাজেটে, মোদির বিরোধিতায় BMS

ঠিক কী হয়েছে? ‘ট্রান্সফরমেশন অব ফেয়ার প্রাইস শপস’ সম্মেলনের আয়োজনের পিছনে পিছনে মূল উদ্দেশ্য ছিল স্রেফ চাল-গম বিক্রি করে নয়, অন্যপথেও কীভাবে রেশন দোকানদার বা ডিলারদের উপার্জন বাড়ানো যায় তা নিয়েই আলোচনা। আর সেখানেই মোদি সরকারের সমালোচনায় সরব হন প্রধানমন্ত্রীর ভাই প্রহ্লাদ মোদি। আহমদাবাদে রেশন দোকান চালান তিনি। চাঁচাছোলা ভাষায় তিনি সম্মেলনে উপস্থিত কেন্দ্রীয় খাদ্যসচিব সঞ্জীব চোপড়াকে লক্ষ্য করে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন যে, ‘স্রেফ পরামর্শ দিয়ে কী হবে? একে উপার্জন কমে গিয়েছে। এরপর আমাদের রেশন দোকানকে কেন্দ্রীয় সরকার যদি নিজের প্রকল্পের কাজে ব্যবহার করতে চায়, তাহলে তা সাজিয়ে গুছিয়ে তোলার খরচ দিতে হবে কেন্দ্রকেই। প্রাথমিকভাবে যা কমপক্ষে দু’লক্ষ টাকা। কোথা থেকে পাব? কেন্দ্র কি দেবে?’ কেন্দ্র অবশ্য জানিয়েছে, এই টাকা তাঁরা দেবে না। মোদির ভাই আরও বলেন, ‘কেন্দ্রের উদ্যোগ ভালো। কিন্তু কমপক্ষে মাসে ৫০ হাজার টাকার স্থায়ী রোজগারের গ্যারান্টি দিতে হবে। দিতে হবে ল্যাপটপ, কম্পিউটার কেনা এবং তার রক্ষণাবেক্ষণের অর্থ। তা নাহলে রেশন দোকানকে কমন সার্ভিস সেন্টারের রূপ দেওয়া কঠিন।’

আরও পড়ুন এখনই বেতন ফেরাতে হচ্ছে না, স্বস্তিতে চাকরি হারানো Group-D কর্মীরা

এই সম্মেলনে রাজ্যগুলিকেও ডাকা হয়েছিল। সেই সূত্রেই সেখানে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের খাদ্যসচিব অচিন্ত্যকুমার পোতি। তাঁর সামনেই আবার বাংলার সাফল্য উঠে আসে। রেশন দোকানদার বা ডিলারদের(Ration Dealer) উপার্জন বাড়াতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সরকার ইতিমধ্যে ৬টি উদ্যোগ নিয়েছে। কুইন্টাল প্রতি ৯০ টাকা কমিশনের বাইরেও মিলছে অতিরিক্ত ৫ টাকা। প্রতি মাসে প্রত্যেক দোকানদারকে দেওয়া হচ্ছে অতিরিক্ত স্থায়ী ৫ হাজার টাকা। রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার সংযোগ করলে কার্ড প্রতি ২.৫০ টাকা। দুয়ারে রেশনের জন্য কুইন্টাল প্রতি ৭৫ টাকা। খাদ্যশস্য বিতরণে যে সামান্য চাল-গম নষ্ট হয়, তাও পুষিয়ে দিতে দেওয়া হচ্ছে হ্যান্ডেলিং লসের ০.২ শতাংশ। অনুমোদন মিলেছে চাল-গম-চিনির বাইরে নিত্য প্রয়োজনীয় যে কোনও দ্রব্য বিক্রিরও। আর এই সব ব্যবস্থাই বাংলার বুকে রেশন ব্যবস্থাকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে যা বিজেপি শাসিত ডবল ইঞ্জিনের রাজ্যগুলিতে তো হয়নি, এমনকি অবিজেপি শাসিত কোনও রাজ্যেও দেখা যাচ্ছে না।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

নদিয়ায় জাতীয় সড়কে ভয়াবহ দুর্ঘটনাই মৃত্যু হল এক যুবকের, শোকের ছায়া পরিবারে

অনলাইন প্রতারণা চক্রের ৬ ব্যাক্তিকে গ্রেফতার করল শান্তিপুর থানা

কাঁচালঙ্কা চিবিয়ে খান, বেটে মুখে মাখেন, নদিয়ার শেখর সিকদারের কীর্তিতে হতবাক সকলে

এক ফোঁটা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়ার মধ্যে দিয়ে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা

আন্তর্জাতিক অস্ত্র পাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন শাহজাহান?

সন্দেশখালিতে এনএসজিকে ডেকে রোবট এনে হাত বোমা উদ্ধার করল সিবিআই

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর