-273ºc,
Friday, 2nd June, 2023 5:13 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: মোদি সরকারের জমানায় জাতীয় মহিলা কমিশন থেকে শিশু অধিকার রক্ষা কমিশনের মতো জাতীয় সংস্থাগুলির সম্পূর্ণ গৈরিকীকরণ করা হয়েছে। শুধুমাত্র বিজেপি ও রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের কট্টর ক্যাডারদেরই বেছে বেছে ওই কমিশনের শীর্ষ ও সদস্যপদে বসানো হয়েছে। আর জাতীয় সংস্থার চেয়ারপার্সন ও সদস্য হিসেবে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনের পরিবর্তে বিজেপি বিরোধী বিভিন্ন রাজ্য সরকারকে ছলছুতোয় বিপাকে ফেলাই প্রধান লক্ষ্য হয়ে উঠেছে তাঁদের।
গত দুদিন ধরে জনগণের করের টাকায় বাংলায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন জাতীয় শিশু অধিকার রক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন প্রিয়ঙ্ক কানুনগো ও তাঁর সঙ্গীরা। সতীর্থ বঙ্গ বিজেপির নেতারা যাতে তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ শানাতে পারেন সেই লক্ষ্যে মনগড়া অভিযোগ করে চলেছেন বলে ইতিমধ্যেই অভিযোগ উঠেছে। মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা প্রিয়ঙ্ক কানুনগো ছাত্রজীবনে আরএসএসের ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের কট্টর ক্যাডার ছিলেন। পরে বিজেপি নেতা হিসেবে চুটিয়ে রাজনীতি করেন। কেন্দ্রে মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পরে বিজেপি করার পুরস্কার হিসেবে ২০১৮ সালে জাতীয় শিশু অধিকার রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ পান।
শিশু অধিকার রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দল ও সরকারকে বার বার নিশানা করে চলেছেন প্রিয়ঙ্ক। মোদি কিংবা বিজেপির জনসভায় শিশুরা ভিড় করলেও মুখে রা কাড়েন না। অথচ ভারত জোড়ো যাত্রায় রাহুলের সঙ্গে স্বতঃস্ফূর্তভাবে শিশুরা এসে ছবি তোলায় কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছিলেন। যদিও প্রিয়ঙ্কের ওই অনুরোধে কর্ণপাতই করেননি। কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ জাতীয় শিশু অধিকার রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যানকে মিথ্যাবাদী আখ্যা দিয়ে বলেছিলেন, ‘নিজের সুপ্রিম বসের (পড়ুন নরেন্দ্র মোদি) মতোই মিথ্যাবাদী প্রিয়ঙ্ক।’ তিলজলা ও গাজোল কাণ্ডে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকারকে নিশানা করতেই এবার রাজ্যে এসে ‘নাটক’ করে চলেছেন বলে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের অভিযোগ।