নিজস্ব প্রতিনিধি: বড় অঙ্কের বিনিয়োগের মুখ দেখতে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) বাংলা(West Bengal)। এই রাজ্যেরই শিল্পসংস্থা Rashmi Group ২২ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ(22 Thousand Crore Rupees Investment) করতে চলেছে ইস্পাত ও খনি শিল্পের জন্য। আর তাতে বাংলার কোষাগার যে শুধু ভরে যেতে চলেছে তাই নয়, একটা বড় সংখ্যার মানুষও কর্মসংস্থানের সুযোগ পেতে চলেছেন। রাজ্যের পশ্চিম মেদিনীপুর(Paschim Midnapur) জেলার খড়গপুরে(Kharagpur) এবং তার পাশের জেলা ঝাড়গ্রামে(Jhargram) রয়েছে এই সংস্থার Brownfield ও Greenfield Steel Plant। সেই দুটি কারখানার সম্প্রসারণের লক্ষ্যে তাঁরা ২০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে চলেছেন। আর তার জেরে সেই দুই কারখানায় প্রত্যক্ষ ভাবে আরও ৫ হাজার মানুষের কাজের সুযোগ হতে চলেছে। একই সঙ্গে বীরভূম(Birbhum) ও পশ্চিম বর্ধমান(Paschim Burdhwan) জেলার ৩টি কয়লা খনি থেকে কয়লা উত্তোলনের জন্য তাঁরা আরও ২ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে চলেছেন। তার জেরে ওই ৩টি খনিতে ১৫ হাজার মানুষ প্রত্যক্ষ ভাবে কাজ পেতে চলেছেন। শুধু তাই নয়, এই ৩টি কয়লাখনির হাত ধরে রাজ্য সরকার আগামী ৫০ বছর ধরে বার্ষিক ১৩০০ কোটি টাকা লেভি পেতে চলেছে।
জানা গিয়েছে, বীরভূম জেলা ও পশ্চিম বর্ধমান জেলার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত অজয় নদের দুইপাশে বিপুল কয়লা ভান্ডারের সন্ধান মিলেছে। সেখানে মোট ৩টি কয়লার ব্লকের সন্ধান মিলেছে। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে বীরভূম জেলার ইলামবাজার ব্লকের Kagra Joydev Coal Block ও পাশের খয়রাশোল ব্লকের Kasta East Coal Block এবং পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকের Jagannathpur B খনিতে মোট ২০০ মিলিয়ন টন কয়লা মজুর রয়েছে। সেই কয়লা উত্তোলনের জন্য রাজ্যের তরফে Rashmi Group-কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি রাজ্য মন্ত্রিসভায় এই মর্মে Rashmi Group’র হাতে ৭১৫.৫৮ একর জমি দীর্ঘমেয়াদী সূত্রে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তে শিলমোহর দেওয়া হয়েছে। Rashmi Group’র তরফেও জানানো হয়েছে, এই ৩টি কয়লাখনিতে আগামী ৬ মাসের মধ্যে কয়লা তোলার কাজ শুরু হতে চলেছে। আপাতত প্রতি বছর এই ৩টি খনি থেকে বার্ষিক ৩ মিলিয়ন টন করে মোট ৯ মিলিয়ন টন কয়লা তোলার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে। আর তার জেরেই রাজ্য সরকার আগামী ৫০ বছর ধরে প্রতি মাসে ১০০ কোটি টাকা বা বার্ষিক ১২০০ থেকে ১৩০০ কোটি টাকা লেভি বা কর পেতে চলেছে।