এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

Singur অতীত, ভবিষ্যৎ Kharagpur, বাংলায় প্রত্যাবর্তন TATA’র

নিজস্ব প্রতিনিধি: খবরটা সবাই জেনে গিয়েছেন। সিঙ্গুর(Singur) আজ অতীত। সেই অতীতে পড়ে না থেকে ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়েই বাংলায় ফিরছে TATA গোষ্ঠী। দেড় দশক বাদে। অবশ্য একে ফেরা বলা যায় না। কেননা সিঙ্গুর ছেড়েছিলেন Ratan Tata আর Tata Motors। তারপরেও কিন্তু বাংলার বুকে TATA গোষ্ঠী’র কাজকর্ম অব্যাহত ছিল। যেটা নতুন সেটা অবশ্যই সিঙ্গুরের দেড় দশক বাদে আবারও বাংলায় বড়সড় বিনিয়োগ করতে চলেছেন তাঁরা। এই ঘটনা নিঃসন্দেহে মমতা বিরোধী, তৃণমূল বিরোধী, বাংলা বিরোধীদের কাছে একটা বড়সড় ধাক্কা। কেননা এরাই এই দেড় দশক ধরে ঢক্কানিনাদ পিটিয়ে এসেছে মমতার শিল্পবিরোধী আন্দোলনের জেরেই নাকি TATA গোষ্ঠী বাংলা(Bengal) ছেড়ে চলে গিয়েছে। যদি সেটাই সত্যি হয় তাহলে এখন তাঁরা কেন আবার রাজী হলেন বাংলার বুকে বিনিয়োগের জন্য! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে(Mamata Banerjee) খুশি করার জন্য? মোটেও নয়। বাংলায় বিনিয়োগের পরিবেশ আছে বলে, শিল্পের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল বলে।

আরও পড়ুন সমস্ত সরকারি কার্যালয়ে এবার থেকে Biometric Attendence বাধ্যতামূলক

Tata Motors আর জাপানের Hitachi Construction Mechinary হাতে হাত মিলিয়ে তৈরি করেছে Tata-Hitachi। সংস্থার মালিকানার ৬০ শতাংশ Hitachi Construction Mechinary’র হাতে আছে। বাকি ৪০ শতাংশ আছে Tata Motors’র হাতে। তাঁদের একটি কারখানা ছিল Jamshedpur বা Tatanagar-এ। তবে সেই কারখানা বেশ পুরাতন। ১৯৬১ সালে স্থাপিত। সেই কারখানা তাঁরা গুটিয়ে নিয়ে ভিন রাজ্যে যাওয়ার কথা ভেবেনিয়েছিলেন এক দশক আগেই। কিন্তু যাবেন কোথায়? অনেকগুলি রাজ্যের কথাই তাঁরা ভেবেছিলেন। নরেন্দ্র মোদির গুজরাত, দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ু, পশ্চিম ভারতের মহারাষ্ট্র। কিন্তু ৩টি রাজ্যই বাতিল হয়। ন্যানোর অভিজ্ঞতা ভাল নয়। তাই বাতিল হয়েছিল গুজরাত। তামিলনাড়ুর বন্যা আর মুম্বইয়ের বন্যা মহারাষ্ট্রের নামেও Reject ছাপ ফেলে দিয়েছিল। তাই নতুন কারখানা কোথায় খোলা যায় সেটা নিয়ে যখন সংস্থার কর্তারা ভাবছিলেন সেই সময় তাঁদের বাংলায় আসার প্রস্তাব দিয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী তথা শিল্পপতি অমিত মিত্র। সেই প্রস্তাবের সপক্ষে তিনি বাংলার উন্নয়ন, বনধ বিরোধিতা, ভবিষ্যতের সম্ভাবনা সবই তুলে ধরেছিলেন। সেই সব বিষয়গুলি মনে ধরেছিল ওই বেসরকারি সংস্থার। তার জেরেই Kharagpur-এর বুকে Tata-Hitachi’র নতুন কারখানা যেখানে খুব করেও ২ হাজার মানুষের প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থান হতে চলেছে।

আরও পড়ুন ‘রাস্তাশ্রী’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মহিলাদের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক

Tata-Hitachi’র একটি ম্যানুফ্যাচারিং ইউনিট Kharagpur ছিল ২০০৯ সাল থেকেই। সিঙ্গুর পর্বেই সেখানে জমি অধিগ্রহণ হয়। মিনি এক্সক্যাভেটর, হুইল লোডার, ব্যাক হো লোডার, ডাম্প ট্রাক প্রভৃতি সেখানে তৈরি হতো। ২০১৪ সালে ওই কারখানাটি থেকে বাণিজ্যিকভাবে বিদেশে রফতানি শুরু হয়। সম্প্রতি রাজ্য সরকারের থেকে ১০০ একরের বেশি জমি কিনেছে টাটা গোষ্ঠী। সেখানেই উৎপাদন পরিধি বাড়াবে এই নতুন ইউনিট। নতুন এই ইউনিটে খনিজ সামগ্রী খননের জন্য প্রয়োজনীয় মাইনিং এক্সক্যাভেটর এবং হাইড্রোলিক এক্সক্যাভেটরের উৎপাদন শুরু হয়েছে। বীরভূমের দেউচা-পচামির কয়লা উত্তোলন পর্বে টাটা হিতাচির নতুন ইউনিট সহায়ক ভূমিকা নেবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। Tata Steel’র অপর শাখা সংস্থা Tata Spong Iron Limited’র Board of Directors-ও ওড়িশার কেওনঝড়ের জোডায় যে কারখানাটি রয়েছে সেটিকেও বাংলায় সরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই সংস্থার সদর দফতর সরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে কলকাতায়। সম্ভবত Tata Steel Long Products নামে বাংলায় উৎপাদন শুরু করবেন তাঁরা। আসলে TATA-দের এই দুই পদক্ষেপের পিছনে মূল কারণ হয়ে উঠেছে তাজপুর-হলদিয়া-কলকাতা এই ৩ বন্দরের মাধ্যমে বিদেশে পণ্য রফতানির সুবিধা, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাজার ধরার সুবিধা, সুলভ শ্রমিক এবং অবশ্যই রাজ্য সরকারের সহায়তা। বাংলার বুকে যে দ্রুতগতিতে উন্নয়ন চলছে তা TATA-দের চোখে পড়েছে। তাঁরা বুঝেছেন, বাংলার জমিতে ব্যবসা বাড়ানোর সুবিধা তাঁদের ভবিষ্যতে আরও বড় সুযোগ এনে দেবে বিশ্বের বাজারে থাবা বসাতে। তাই সিঙ্গুরকে ভুলে তাঁরা খড়গপুরে পা রেখেছেন।

আরও পড়ুন ৫ কোটি ফেরাতে চাকরিহারা ৫৭জন Group-D কর্মীকে নোটিস

নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই রাজ্যে পা রাখার ক্ষেত্রে TATA’রা ৮ দফা শর্ত রেখেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের সামনে অমিতবাবুর মারফত। যার মধ্যে অন্যতম ছিল খড়গপুরের শিল্পতালুককে আন্তর্জাতিক মানের করে তোলা। সেই সব শর্ত যথাযথ ভাবে পূরণ হওয়ার পরেই TATA’রা নতুন করে বাংলায় বিনিয়োগ করতে রাজি হয়েছেন। সিঙ্গুর নিয়ে যাই হোক না কেন, তা ভুলে এখন দুই পক্ষই নতুন স্রোতে এগিয়ে যেতে চান হাতে হাত ধরাধরি করে। আর এই ঘটনাই বলে দিচ্ছে সিঙ্গুরে মমতার আন্দোলন মোতেও ভুল ছিল না। শিল্পবিরোধী তো নয়ই। মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে রাজ্যে যে প্রকৃত শিল্পবান্ধব পরিবেশ তৈরি হয়েছে, হেভি ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিটের বাংলায় আসাটাই তার প্রমাণ। টাটা গোষ্ঠী এ রাজ্যে তাদের বিনিয়োগ পরিধি আরও বাড়াবে। অনান্য শিল্পগোষ্ঠীও এগিয়ে আসবে বাংলায় বিনিয়োগের জন্য। সিঙ্গুরে যান হয়নি খড়গপুরের বুকে সেটাই কিন্তু এখন চূড়ান্ত সফল বাস্তব হয়ে উঠতে চলেছে। সব থেকে বড় কথা সবতাই কিন্তু ১জন কৃষকেরও ১ ফালি জমি অধিগৃহীত না করেই হচ্ছে। কৃষকের জমি দখল করে শিল্পপতিদের ভেট মমতার সরকার দিচ্ছে না।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

শুক্রে রাজ্য়ের তিন কেন্দ্রে ভোট, মোতায়েন ২৬৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ১৭০০০ পাতার চার্জশিট জমা ইডির

হাতির হানায় মৃতদের স্বজনেরা চাকরি পেয়ে মুগ্ধ মমতায়

‘বিচারপতির কলঙ্ক অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় গো ব্যাক’, পোস্টারে পোস্টারে ছয়লাপ ময়না

‘মোদি জিতলে দেশে আর গণতন্ত্র থাকবে না’, আশঙ্কা প্রকাশ মমতার

দই বা ঘুগনি নয়, সিঙ্গুরে প্রচারে গিয়ে নতুন ধরনের জলখাবার খেলেন রচনা

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর