এই মুহূর্তে




ওষুধে বিষক্রিয়া? আরজি কর হাসপাতালের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞের ‘রহস্যমৃত্য’, তদন্তে পুলিশ

নিজস্ব প্রতিনিধি: ফের শিরোনাম কলকাতার আরজিকর হাসপাতাল, ২০২৪ সালে যে হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের প্রতিবাদে গোটা রাজ্যে তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল। এবার আরজিকর হাসপাতালের এক চিকিৎসকের রহস্যমৃত্যু ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। মৃত চিকিৎসকের নাম শুভ্রজিৎ আচার্য। বয়স ৩৭ বছর। তিনি আরজিকর হাসপাতালে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। মৃত চিকিৎসকের বাড়ি উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার মধ্যমগ্রাম শিশিরকুঞ্জে। জানা যায়, গতকাল (রবিবার ২৬ অক্টোবর) রাতে অসহ্য বুকে ব্যাথা নিয়ে বারাসতের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ওই চিকিৎসক।

হাসপাতাল সূত্রের খবর, হার্ট রেট কমানোর জন্যে প্রায়শই ওষুধ খেতেন ওই চিকিৎসক। প্রাথমিকভাবে অনুমান, সেই ওষুধের অধিক মাত্রার কারণেই তাঁর শরীরে বিষক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। তার জেরেই মারা গিয়েছেন ওই চিকিৎসক। তবে চিকিৎসকের পরিবার তা মানতে রাজি নয়। এই ঘটনায় হাসপাতাল চত্বরে স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মৃত চিকিৎসকের দেহ বারাসত মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্যে পাঠানো হয়েছে। তবে ময়না তদন্তের রিপোর্ট না পাওয়ার আগে তাঁর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে না বলে জানিয়েছে পুলিশ। উল্লেখ্য, দিন দুয়েক আগেই কাঁথি হাসপাতালে কর্মরত মহিলা চিকিৎসক শালিনী দাসের রহস্যমৃত্যুতে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছিল। তিনি কলকাতা দমদমের বাসিন্দা ছিলেন। কাঁথি সাব ডিভিশন হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। হাসপাতাল থেকে ফেরার পর ভাড়াবাড়িতে তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর রহস্যজনক মৃত্যু ঘিরেও চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছিল।

জানা যায়, মৃত্যুর দিন সকাল থেকেই অসুস্থ ছিলেন তরুণী চিকিৎসক। সেই অবস্থাতেই তিনি হাসপাতালে গিয়েছিলেন। এবং সেখান থেকে একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে চিকিৎসার কাজে গিয়ে চ্যানেল করিয়ে ওষুধ নিয়েছিলেন তিনি। এরপরেই বাড়িতে ফিরে তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর ‘রহস্যমৃত্যু’র তদন্তে নামে তমলুক থানার পুলিশ। শেষে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে স্পষ্ট হয় যে, সম্ভবত তিনি আচমকা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। কারণ তাঁর পোস্টমর্টেম রিপোর্টে অস্বাভাবিক কিছু পাওয়া যায়নি। তিনি বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন, হাইপারটেনশনের ওষুধ খাচ্ছিলেন। তবে হাতের চ্যানেলে পুশ করা ওষুধের জেরেও তাঁর কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় মৃত্যু হয়নি। তবে তিনি আত্মহত্যা করেছেন নাকি, তা নিয়েই চিন্তিত পরিবার। চিকিৎসকের বাবা জানিয়েছেন, ‘মাঝে মধ্যেই কাজের চাপ নিয়ে কথা বলত ছেলে। কিন্তু কি কারণে সে ওষুধ খেত জানা নেই। পরিবারে ও কোনও অশান্তির পরিবেশ ছিল না। ওর ঠিক কী হয়েছিল, তাই ভেবে উঠতে পারছিনা। গতকালই ছেলের সঙ্গে কথা হল। আমার কিছু ওষুধ সম্পর্কে জানার ছিল, তাই ওকে ফোন করেছিলাম। তখনও ও স্বাভাবিক ছিল। কীভাবে কী হল, বুঝতে পারছিনা।’

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট

প্রকাশ্যে SIR এর ভিন্ন ছবি, গ্রামে ফিরে স্কুলপড়ুয়াদের খাওয়ালেন পরিযায়ী শ্রমিক

ফ্রিজের মধ্যে ফুলকপিকে জড়িয়ে রয়েছে সাপ, চাঞ্চল্য মালদহে

খড়িবাড়ির পর শিলিগুড়ি! জাল জন্ম ও মৃত্যু শংসাপত্র চক্রের হদিশ, ধৃত ১

ঐতিহাসিক মুদ্রা থেকে দেশ বিদেশের ডাকটিকিট, মাইক্রোবায়োলজিস্টের সংগ্রহ দেখলে চমকে যাবেন

চেন্নাইয়ে কাজে গিয়ে মৃত্যু, পরিযায়ী শ্রমিক অসীমের দেহ ফিরল বাহারি গ্রামে, শোকের ছায়া বীরভূমে

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ