নিজস্ব প্রতিনিধি, ঝাড়গ্রাম: পথশ্রী রাস্তাশ্রী প্রকল্পে রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু ডুমুরিয়া গ্রামে ঝাড়গ্রামের সাঁকরাইল ব্লকের খুদমরাই গ্রাম পঞ্চায়েতের অনিল নায়েকের দোকান থেকে শিরিষবনী পর্যন্ত। কংক্রিটের রাস্তা তৈরির কাজ শুরু হওয়ায় খুশি শিরিষবনি ডুমুরিয়া গ্রামের বাসিন্দারা। জানা গিয়েছে, দীর্ঘ ৩৪ বছর ধরে শিরিষবনি, ডুমুরিয়া গ্রামের(Duburia Village) রাস্তাটি বেহাল অবস্থায় ছিল। প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে জানিয়েও কোন সুরাহা হয়নি। বর্তমান সরকারের মুখ্যমন্ত্রীর(CM) নতুন প্রকল্পে এই রাস্তা তৈরি হওয়ায় খুশি এলাকাবাসী। পাশাপাশি বাসিন্দারা মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও জানান। জানা গিয়েছে, খুদমরাই গ্রাম পঞ্চায়েতটি বিজেপি পরিচালিত।
খুদমরাই অঞ্চল তৃনমূলের সভাপতি অর্ঘ্য রতন পাহাড়ি সিপিএম এবং বিজেপিকে কটাক্ষ করে বলেন, ৩৪ বছর ক্ষমতায় ছিল সিপিএম, তারপরে ওই পঞ্চায়েত আবার সিপিএম পরবর্তী গত পাঁচ বছর এখন ক্ষমতায় বিজেপি। এত যন্ত্রণার মধ্যে বা সমস্যাতে শিরিষবনি গ্রাম ছিল যেটা ৩৪ বছর ধরে রাস্তার কাজ কোন সরকারই করেনি। মুখ্যমন্ত্রীর প্রচেষ্টায় পথশ্রী রাস্তাশ্রী মাধ্যমে এ রাস্তাটি পায় গ্রামের বাসিন্দারা। এই গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপি পরিচালিত। ধান্দাবাজ বিজেপি পঞ্চায়েত এরা কোনভাবে মানুষের কাজে লাগে না নিজের স্বার্থে কাজ করে। আমি একটা কথা চ্যালেঞ্জ করলাম, যারা বর্তমান বিজেপির পঞ্চায়েত প্রধান আছেন প্রত্যেকে নিজের স্বার্থে কাজ করেছে। পাশাপাশি তৃণমূল নেতা চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেন, এনারা আর একবার ভোটে দাঁড়িয়ে যদি জিতে আসতে পারেন। আমি কথা দিলাম যদি জিতে আসতে পারে তাহলে আমি অঞ্চল সভাপতি পদ ছেড়ে দেব। রাজনীতি আর করব না।
কারণ ওদের আজ দশ গুণ সম্পত্তি হয়েছে। কিন্তু ওরা কোন মানুষের উপকারের কোন কাজেই লাগেনি। বর্তমান যা পরিস্থিতি মানুষ আর ওদের কাছে নেই মানুষ সরে গেছে পঞ্চায়েত ভোটে ভালো রেজাল্ট হবে। অন্যদিকে সাঁকরাইল মন্ডল বিজেপির সভাপতি জিতেন সিং বলেন, ওই অঞ্চলে যতগুলো রাস্তাঘাট হয়েছে, বিজেপি(BJP) সুন্দর করে করেছে। তৃণমূলের ছোট বড় সব নেতা কাটমানি নিচ্ছে তাই ভালো কাজ হচ্ছে না। যে তৃণমূল নেতা অভিযোগ করছেন বিজেপি নেতাদের দশগুণ সম্পত্তি হয়েছে, প্রমাণ করতে পারলে আমি ওই অঞ্চলে জুতার মালা নিয়ে ঘুরবো। ভোট আসছে বলেই তৃণমূল মিথ্যা কথা রটাচ্ছে বিজেপির বিরুদ্ধে।