নিজস্ব প্রতিনিধি: ফের রবিনসন স্ট্রিট কাণ্ডের ছায়া। এবার ঘটনাস্থল বাঁকুড়া জেলা। বাড়িতে ভাইয়ের মৃতদেহ আগলে রেখেই দিব্যি বসবাস করছিলেন দাদা-বৌদি। অবশেষে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়তে প্রকাশ্যে আসে গোটা ঘটনা। বাঁকুড়া শহরের আট নম্বর ওয়ার্ডের দোলতলা এলাকায় এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে পচাগলা দুর্গন্ধে ভরে যায় বাঁকুড়া শহরের দোলতলা এলাকা। স্থানীয়রা এই দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে বুঝতে পারেন দোলতলা এলাকার একটি দোতলা বাড়ি থেকে এই গন্ধ বেরোচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে এলাকাবাসী ওই বাড়িতে গিয়ে খোঁজ নেন। খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন বাড়ির বাসিন্দা অশোক কর্মকার ও তাঁর স্ত্রী একটি দেহ আগলে রেখেছে ঘরে। মৃত ওই ব্যক্তির নাম সনৎ কর্মকার। সনৎ সম্পর্কে অশোকের ভাই।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, সনৎ কর্মকারের মৃত্যু হয়েছে অন্তত দুদিন আগে। কিন্তু তা মানতে নারাজ দাদা অশোক কর্মকার। আর মৃত্যুর পরও সেই মৃতদেহ আগলে বড়িতেই রেখেছিলেন অশোক ও তাঁর স্ত্রী। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁকুড়া শহরের আট নম্বর ওয়ার্ডের দোলতলা এলাকায় নিজেদের বাড়িতে থাকতেন অশোক কর্মকার ও তাঁর পরিবার। ওই একই বাড়িতে থাকতেন ৫৬ বছর বয়সী অবিবাহিত সনৎ কর্মকারও। দুই ভাই মিলে একটি রেডিও সারানোর দোকান চালাতেন। সেই উপার্জনে চলত সংসার। অশোক ও তার পরিবার এলাকার মানুষের সঙ্গে খুব একটা যোগাযোগ রাখেন না বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
ঘটনার খবর পেয়ে বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ অশোক কর্মকারের বাড়িতে পৌঁছয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। মৃতের দাদা অশোক কর্মকারের দাবি, শুক্রবার দুপুরে ভাই সনৎ কর্মকারের মৃত্যু হয়। কিন্তু পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে অনুমান ওই ব্যাক্তির মৃত্যু হয়েছে অন্তত দুদিন আগে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানোর পাশাপাশি গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ।