নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রতিবন্ধী তরুণীকে বার বার ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত যুবক গ্রেফতার হয়ে আদালতের নির্দেশে জেলও খেটেছেন। পরে জামিনে ছাড়া পান অভিযুক্ত। হুগলির গোঘাটের পশ্চিমপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের লালুকার ঘোড়াডুবী গ্রামের ঘটনা। অভিযোগ এলাকারই যুবক শেখ মুজিবরের বিরুদ্ধে। নির্যাতিতা তরুনী ও তাঁর পরিবারের অভিযোগ ওই ধর্ষণের ফলে অন্তঃসত্তা হয়ে পড়েছেন তরুণী। তাঁর গর্ভে বেড়ে উঠছে ভ্রূণ।
আর এই আবহে নতুন করে প্রশ্ন উঠছে নির্যাতিতা ওই তরুণীর প্রতিবেশীদের তরফে। পিতৃমাতৃহীন ওই তরুণীর ভবিষ্যৎ জীবনের দায় কে নেবে? তাদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে আগামীদিনে তরুণী এবং গর্ভস্থ সন্তানের ভরণ পোষণের দায়িত্ব ওই যুবককেই নিতে হবে। কিন্তু দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করেছেন যুবক। যুবকের পরিবারের তরফে অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে পাল্টা বলা হয়েছে, ডিএনএ পরীক্ষা করা হোক। ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না বলে তাঁরা জানিয়েছেন। যা হবে আইনি পথেই মোকাবিলা করবেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, আসলে এই ঘটনায় তরুণীর কোনও নিকট আত্মীয়ই জড়িত আছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক মাস আগে প্রতিবন্ধী তরুণীকে লাগাতার ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে গ্রামেরই যুবক শেখ মুজিবরের বিরুদ্ধে। এরপরে ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তরুণী গোঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতারও করেছিল পুলিশ। মাস তিনেক জেল হেফাজতে ছিলেন ওই যুবক। পরে জামিনে ছাড়া পেয়ে যান।
অন্যদিকে তরুণী ও গর্ভস্থ সন্তানের কোনও দায়িত্ব নেবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন যুবকের পরিবার। এই পরিস্থিতিতে ওই তরুণী মানসিকভাবে ক্রমশঃ অবসাদগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন। তরুণীকে পাল্টা হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। কোনও সমাধানসুত্র না বের হলে আত্মহত্যার পথ বেছে নেবেন বলে জানিয়েছেন ওই তরুণী।