এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

৬ বছর ধরে বেতন মিলছে না, মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ জীবিকা সেবকেরা

Courtesy - Google and Facebook

নিজস্ব প্রতিনিধি: এক আধ মাস নয়, এক আধ বছরও নয়। টানা ৬ বছর ধরে বেতন পাচ্ছেন না বাংলার(Bengal) ৯৩০জন জীবিকা সেবক(Jibika Sebak)। কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন নরেন্দ্র মোদির(Narendra Modi) সরকার তাঁদের বেতন(Salary) দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। দীর্ঘ ৬ বছর ধরে তাঁরা কিন্তু নিয়মিত ভাবে হাজিরা দিচ্ছেন, কাজ করছেন নিজ নিজ কর্মস্থলে। কিন্তু ৬ বছরেও ছবি না বদলানোয় এবার তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) দ্বারস্থ হচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে। বাংলার ১৩টি জেলায় প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতে একজন করে জীবিকা সেবক রয়েছেন। রাজ্যের এগ্রিকালচার বিভাগে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করা ওই সেবকদের সংখ্যা এখন ৯৩০জন। কেন্দ্র সরকার প্রকল্প বন্ধ করলেও ৬ বছর ধরে বিনা বেতনে পঞ্চায়েতে নিয়মিত কাজ করছেন এই ৯৩০জন জীবিকা সেবক। সংসার চালাতে অবসর সময়ে অনেকেই টিউশনি করছেন। আবারও সুদিন ফিরবে এই আশায় তাঁরা রোজ নিয়ম করে পঞ্চায়েতেও যাচ্ছেন। কৃষি সংক্রান্ত যাবতীয় কাজও তাঁরা করছেন।  

২০০৯ সালে রাজ্যের গ্রামীণ এলাকায় কৃষি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য সংগ্রহের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের Backward Regions Grant Fund বা BRGF প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রাম পঞ্চায়েতস্তরে একজন করে জীবিকা সেবক নিযোগ করা হয়। রাজ্যের বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বীরভূম, পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪পরগনা, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদহ ও মুর্শিদাবাদ জেলায় মোট ৯৩২জন জীবিকা সেবক নিয়োগ করা হয়। তাঁরা প্রতিমাসে ৫ হাজার টাকা করে বেতন পেতেন। ২০১৪ সালে ওই প্রকল্প বন্ধ হয়ে যায়। তাঁদের জীবিকার কথা ভেবে রাজ্য সরকার পরবর্তী ৩ বছর নিজেদের কোষাগার থেকে বেতন মেটায়। কিন্তু, তারপর অর্থের অভাবে রাজ্য সরকারও তা বন্ধ করে দেয়। ওই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার জীবিকা সেবকদের ১০০দিনের কাজের প্রকল্পের আওতায় আনার প্রস্তাব দেয়। কিন্তু, কেন্দ্র তাও মানেনি। এভাবে গত ৬ বছর কেটে গিয়েছে। বেতন না পেয়ে জীবিকা সেবকরা চরম সমস্যায় দিন কাটাচ্ছেন।

পশ্চিমবঙ্গ জীবিকা সেবক ফেডারেশনের রাজ্য সভাপতি চন্দন ঘোষ এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের BRGF প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা নিযুক্ত হয়েছিলাম। তা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর কেন্দ্রীয় সরকারের অপর একটি প্রকল্প পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের আওতায় আমাদের আনার ব্যাপারে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরে চিঠি পাঠানো হয়। মুখ্যমন্ত্রীকেও চিঠি দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি প্রতি বিডিওর কাছেও চিঠি পাঠানো হয়েছে। কিন্তু, আজ পর্যন্ত কোনও সুরাহা হয়নি। এই অবস্থায় আমরা বিনা বেতনে গত ৬ বছর ধরে কাজ করে চলেছি। আবার আমরা আগের মতোই বেতন পাব, এই আশায় রোজ নিয়ম করে পঞ্চায়েতে অফিসে গিয়ে কাজ করি। কিন্তু, এভাবে কতদিন বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করতে হবে জানি না। অর্থাভাবে চিকিৎসা করাতে না পেরে ইতিমধ্যেই কয়েকজন জীবিকা সেবকের মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে। আমরা মুখ্যমন্ত্রীকে আমাদের অসুবিধার কথা জানিয়ে চিঠি দিয়েছি।  

নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, আগে পঞ্চায়েতস্তরে কৃষিদফতরের অধীনে একজন করে KPS ছিলেন। অধিকাংশ ওই পদে কর্মী না থাকায় পঞ্চায়েত এলাকায় কৃষি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য সংগ্রহের কাজ তাঁদের দিয়ে করানো হয়। বেতন না পেলেও আজও তাঁরা একই কাজ করে চলেছেন। সেই সঙ্গে পঞ্চায়েতের বাড়তি কাজও তাঁরা করছেন। তার জন্য কোনও কোনও পঞ্চায়েত নিজস্ব তহবিল থেকে সামান্য খরচ দেয়। কিন্তু, তাতে তো আর সংসার চলবে না। তাই অনেকেই বিকল্প হিসেবে অবসর সময়ে টিউশনি পড়ানো শুরু করেছেন।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

রেজাল্ট ভালো হবে না এই আশঙ্কা করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর

কংগ্রেসের দুর্গ রক্ষা নাকি জোড়াফুলের জয়, তাকিয়ে দক্ষিণ মালদার জনতা

আচমকা বাড়ির ছাদ ভেঙে মাটিতে ঢুকে গেল ধাতব গোলক, তদন্তে পুলিশ

‘যত ভোট তত গাছ’, মনোনয়ন দিয়ে ঘাটালবাসীদের প্রতিশ্রুতি দেবের

২০২৫ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষা কবে ? জানিয়ে দিল পর্ষদ

মাধ্যমিক পরীক্ষায় অকৃতকার্য দেড় লক্ষ পড়ুয়া! চিন্তায় শিক্ষাবিদরা

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর