নিজস্ব প্রতিনিধি: বোন এগিয়ে না এলে টেট (TET) পরীক্ষা দেওয়ার স্বপ্ন অধরাই রয়ে যেত দৃষ্টিহীন দাদার। তবে এরশাদ করিমের স্বপ্ন পূরণ করলেন ভার্চুয়াল বোন সায়নী দাস। সোশ্যাল মিডিয়ায় আবেদনকারীর পোস্ট দেখে রাইটার হলেন ছোট্ট বোন।
কে বলেছে সোশ্যাল মিডিয়া মানেই শুধু ‘ওপর ওপর দেখনদারি’ সম্পর্ক? আন্তরিকতা নেই? এই ভাবনা যে ভুল, তা প্রমাণ করল দশম শ্রেণির ছাত্রী সায়নী দাস। বিশেষ ভাবে সক্ষম গোঘাটের কামারপুকুরের বাসিন্দা এরশাদ করিম। মেধাবী এই পরীক্ষার্থী রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ পাশ করেছেন। বর্তমানে তিনি বিএড পড়ছেন। জানা গিয়েছে, রাইটার খুঁজে পাচ্ছিলেন না এরশাদ। তাঁর বন্ধু, রাইটারের খোঁজ করে পোস্ট করেছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তা দেখেই বাবার ফোন থেকে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে ত্রিবেণীর বিধানচন্দ্র রায় স্কুলের ছাত্রী।
হুগলী উইমেন্স কলেজে গিয়ে দাদার ‘রাইটার’ হয় সে। আর বোনের সঙ্গে পরীক্ষা দিয়ে বেরিয়ে এসে আপ্লুত দাদা বলেন, ‘বিফলে যাবে না পরীক্ষা’।
মৌলবাদের রাজনীতিতে যেন ভরে যাচ্ছে দেশ। তারই মাঝে সাম্প্রদায়িকতাকেও চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন এই দাদা ও বোন। সায়নীকে কুর্নিশ জানাচ্ছেন নেটিজেনরা। প্রতারণার জাল ছড়িয়ে পড়ছে সমাজ মাধ্যম জুড়ে। সেই প্ল্যাটফর্মেই নজির গড়লেন ছোট্ট সায়নী।