নিজস্ব প্রতিনিধি : বসিরহাটে ইটভাটার চিমনি ভেঙে প্রাণহানির সংখ্যা তিন জন থেকে বেড়ে চার জন হয়েছে। বছরের কোনও না কোনও সময়ে এই ধরনের ঘটনা লেগেই থাকে। এই ঘটনায় প্রাণ হারান শ্রমিকরা। বার বার এই ধরনের ঘটনা ঘটলেও শ্রমিক সুরক্ষা নিয়ে মাথা ঘামায় না মালিকপক্ষ। ফলে ইটভাটায় কর্মরত শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
বসিরহাটের ইটভাটায় চিমনি ভেঙে পড়ার ঘটনায় যাদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের মধ্যে দুজন উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা। বাকিরা স্থানীয় বাসিন্দা। পেটের তাগিদে অন্য রাজ্য থেকে ইটভাটায় কাজ করতে আসতে হয় শ্রমিকদের। কিন্তু যেভাবে বসিরহাটে ধলতিথার ইটভাটায় এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে, তাতে শ্রমিকদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। জানা গিয়েছে, বসিরহাটে এক হাজারেরও বেশি ইটভাটা রয়েছে। প্রতিবছর উৎপাদন ভালোমতো হলেও শ্রমিকদের সুরক্ষায় নজর দেয়নি মালিকপক্ষ।
বুধবার এই মর্মান্তিক ঘটনার পর থেকে থমথমে ধলতিথা গ্রাম। চার জন শ্রমিকের প্রাণহানিকে কেন্দ্র করে যাতে কোনও উত্তেজনা ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য ধলতিয়া গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় বসিরহাট হাসপাতালে এখন অন্তত ১৫ জন ভর্তি। পাঁচ জন আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।