নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্য বিজেপির নেতাদের দুষে গত দু’সপ্তাহ ধরে বিক্ষুদ্ধ নেতাদের নিয়ে চড়ুইভাতি করছেন কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। প্রথমে বনগাঁতে ও রবিবার গোবরডাঙ্গার গৈপুরে পুরমণ্ডলের সভাপতি আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাগানবাড়িতে পিকনিক করে বার্তা দিচ্ছেন বিজেপি সাংসদ। গত সপ্তাহের পরেই আজও একাধিক বিক্ষুদ্ধ বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে চড়ুইভাতি সারেন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ। এর মাঝেই গত সোমবার জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনুর সঙ্গে বনগাঁতে বনভোজন করতে যান একাধিক বিজেপি বিধায়ক যাদের মধ্যে ছিলেন মুকুটমনি অধিকারী, সুব্রত ঠাকুর-সহ জয়প্রকাশ মজুমদার ও রীতেশ তিওয়ারিরা। এই বিজেপি নেতারাই শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে এক্সাইডে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করে দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন। এবার তাঁদের হাতে শোকজের চিঠি ধরিয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
জয়প্রকাশ মজুমদার ও রীতেশ তিওয়ারিকে শোকজ করেছে রাজ্য বিজেপি। দল বিরোধী মন্তব্যের জন্য শোকজ করা হয়েছে ও দ্রুত জবাব তলব করা হয়েছে দুই বিজেপি নেতার কাছ থেকে। সেই প্রসঙ্গে পাল্টা রাজ্য বিজেপির নেতাদের বিশেষ বার্তা দিয়েছেন বনগাঁর সাংসদ। শান্তনু ঠাকুর জানিয়েছেন, ‘শো-কজ করেছে করুক না! যা করতে চায় ওরা, করুক। আমার সঙ্গে আরও অনেক নেতা বৈঠক করবেন। সারা পশ্চিমবঙ্গের বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতারা বৈঠক করবেন। সবাইকে কি বাদ দিয়ে দেবে? সব বিক্ষুব্ধদের বাদ দেওয়া কি সম্ভব?’ প্রতি সপ্তাহে এইধরনের পিকনিক হবে বলেই জানিয়েছেন জাহাজ প্রতিমন্ত্রী। তিনি আগেই বলেছেন, ‘অনেক কর্মী আক্রান্ত হয়ে বসে গিয়েছেন। অনেক কর্মী নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন। তাঁদেরকে উজ্জীবিত করতে এই সম্পর্ক-যাত্রার উদ্যোগ নিচ্ছি। আগামী দিনে সারা পশ্চিমবঙ্গ জুড়েই পিকনিক হবে।’
যদিও বিজেপির রাজ্য সভাপতির শোকজ প্রসঙ্গে এখনই মুখ খোলেননি জয়প্রকাশ মজুমদার ও রীতেশ তিওয়ারি।