এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

রাজ্য বিজেপিতে ‘সিপাহী বিদ্রোহ’! নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু

নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্য বিজেপির ‘নব্য’ সভাপতি সুকান্ত মজুমদার নিজের টিম সাজাতেই শুরু হয় বিক্ষোভ। একে একে দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়েন একাধিক বিধায়ক ও নেতারা। চিন্তা বাড়িয়ে দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়েন মতুয়া সম্প্রদায়ের নেতা তথা বনগাঁর সাংসদ ও জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। বলেই দেন, বর্তমান রাজ্য বিজেপি নেতাদের মতুয়া সম্প্রদায়ের নেতাদের প্রয়োজন নেই। এরপর সাংসদ শান্তনুর পথেই হাঁটা দেন একাধিক বিধায়ক। তারপরেই ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামেন জয়প্রকাশ মজুমদার, শমীক ভট্টাচার্যরা। শনিবার এক্সাইডের কাছে পোর্ট ট্রাস্টের অফিসে সমস্যার সমাধান করতে বৈঠকে বসেন শান্তনু ঠাকুর ও জয়প্রকাশ মজুমদার ছাড়াও রীতেশ তিওয়ারি, রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়, সায়ন্তন বসু ছাড়াও একাধিক বিধায়ক। সেই বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কার্যত নাম না করেই বিজেপি রাজ্য সভাপতির বিরুদ্ধে তোপ দাগেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর।

প্রকাশ্যেই কার্যত বিজেপির রাজ্য সভাপতির বিরুদ্ধে নাম না করেই বিদ্রোহের ডাক দিয়ে দেন শান্তনু। এরই সঙ্গে বিজেপির সমতুল্য আলাদা সংগঠন ও দল খোলার বার্তাও দিলেন বনগাঁর সাংসদ। শনিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শান্তনু ঠাকুর জানান, ‘কোনও এক বিশেষ ব্যক্তি সংগঠন নিজের কুক্ষিগত করতে এই কমিটি তৈরি করেছে। এদের অন্য দলের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে। বঙ্গ বিজেপি পার্টির কমিটি দেখে মনে হয় না তা দলের উন্নতি করবে। আমরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাত শক্ত করতে বিজেপি করছি। কিন্তু রাজ্য বিজেপির সংগঠনের যিনি নেতা তিনি হয়ত চাইছেন দলটা দুর্বল হয়ে যাক। আমরা কমিটি দেখে অশনি সংকেতের আভাস পাচ্ছি। তাই দলের ক্ষতি হতে দেব না। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। দ্রুত ওই নেতাকে সরিয়ে দিতে হবে। ২ শতাংশ থেকে যারা ৪০ শতাংশে নিয়ে গেল দলটাকে তাঁদের ৯০ শতাংশ নেতৃত্বকে বাদ কেন? কার ইন্ধনে? কারণটা জানতে চাই। বিজেপিকে শেষ করার ষড়যন্ত্র বানচাল করতে চাইছি। অনভিজ্ঞ লোক দলের কমিটিতে আছে।’

কিছুদিন আগেই দলের রাজ্য সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক (‌সংগঠন)‌ অমিতাভ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলে দলেরই একাংশ। সেই ঘটনার নেপথ্যে ছিল ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরকে নিয়ে করা অমিতাভবাবুর এক মন্তব্য। সেই বিবাদের জল থিতু হয়নি এর মাঝেই তাঁকে ‘কলঙ্কিত মাতাল’ বলে আক্রমণ করার পাশাপাশি তাঁকে ‘গরু পাচারকারী’ বলেও আক্রমণ করা হয়। সেই মর্মেই পোস্টার পড়ে পূর্ব রেলের শিয়ালদা বনগাঁ শাখার একাধিক লোকাল ট্রেনের কামরায়। আর এই ঘটনা ঘিরেই এখন তীব্র অস্বস্তিতে পড়ে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। এর ঠিক কয়েকঘণ্টার মধ্যেই শান্তনুর বিস্ফোরক অভিযোগ কার্যত বিজেপির অন্দরে ক্ষোভে ফুঁসতে থাকা নেতাদের মধ্যে একটি বিদ্রোহের আগুন জ্বালিয়ে দিল বলাই যায়।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

জাজপুরের দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে যাচ্ছেন সুজিত

১৪’র ভোটে হারা প্রার্থীকেই ফের অভিষেকের বিরুদ্ধে দাঁড় করাল বিজেপি

লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধের হুমকি বিজেপি নেত্রীর, অস্বস্তিতে পদ্মশিবির

জাজপুরের দুর্ঘটনা নিয়ে খোঁজ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী

শান্তিপুরে রক্ত পরীক্ষা করার ল্যাবের রিপোর্টের প্যাড নকল করার অভিযোগ, এলাকায় চঞ্চল্য

পণের দাবিতে স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগ স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর